রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। ছবি পিটিআই।
পশ্চিমবঙ্গে রেলের কোনও প্রকল্পে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তাঁর বক্তব্য, ঠিক এই কারণেই রেলের নথিতে পশ্চিমবঙ্গের সব প্রকল্পে লাল কালির দাগ রয়েছে। আজ লোকসভায় রেল মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ সংক্রান্ত বিতর্কে নিজের জবাব দিতে গিয়ে অবশ্য রেলমন্ত্রী দাবি করেন, প্রকল্পে গতি আনতে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের সাহায্য পেলে প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করতে রাজি আছে রেল।
সাম্প্রতিক কালে একাধিক বার পশ্চিমবঙ্গে রেল প্রকল্প রূপায়ণে দীর্ঘসূত্রতা এবং রাজ্যের ‘অসহযোগিতা’-র বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। ভোটের মরসুমে লোকসভায় হওয়া আজকের রেল-বিতর্কেও বিরোধী তৃণমূল শিবিরকে আক্রমণ শানানোর সুযোগ ছাড়তে চাননি রেলমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে রেল প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতা কোন পর্যায়ে গিয়েছে তা বোঝাতে ৪৫ বছরের পুরনো কিন্তু এখনও চালু একটি প্রকল্পের উদাহরণ টেনে আনেন পীযূষ। তিনি বলেন, ‘‘জরুরি অবস্থার সময়ে ১৯৭৪-৭৫ সালে হাওড়া-আমতা-বড়গাছিয়া-তারকেশ্বর-বাগনান একটি রেল প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল। ১১০ কিলোমিটার প্রকল্পের মাত্র ৪২ কিলোমিটার কাজ হয়েছে। কিন্তু বাকি অংশের জন্য জমি পাওয়া যাচ্ছে না।’’ পীযূষের দাবি, ওই প্রকল্পের জন্য জমির দাম মিটিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও জমি হাতে পায়নি রেল। তাই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এখন জমির দাম ফেরত চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই টাকাও ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। রেলমন্ত্রীর মতে, এটি কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ রেল প্রকল্পের একই দশা। জমির অভাব ও রাজ্য সরকারের গা-ছাড়া মনোভাবের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে রেলের কাজ আটকে রয়েছে।
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের জন্য যে রেল প্রকল্পগুলি ঘোষণা করেছিলেন, তা নিয়েও আজ কটাক্ষ করেছেন বর্তমান রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি মুম্বইয়ের লোক। তা বলে মুম্বইয়ের জন্যই সব প্রকল্পের ঘোষণা করি না। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯-২০১২ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জন্য সাতটি নতুন লাইন, ডাবলিংয়ের আট-দশটি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল।’’ মন্ত্রী জানান, যেখানে ডাবলিংয়ের জন্য রেলের কাছে জমি রয়েছে, সেখানে দ্রুত গতিতে কাজ হয়েছে। কিন্তু বাকি জায়গায় অসহযোগিতার কারণে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রকল্প আটকে গিয়েছে। পীযূষের অভিযোগের জবাবে তৃণমূল নেতৃত্বের যুক্তি, জোর করে জমি নেওয়া যে হবে না, সেটা রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই রেলকে কাজ করতে হবে। তা ছাড়া এ হল বিজেপির রেল প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ না-করার অজুহাত মাত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy