প্রতীকী ছবি।
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ বিপর্যয়ের ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাদা, আবর্জনা ভরা সুড়ঙ্গে আটক পড়া শ্রমিকদের ফিরে পাওয়ার আশায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে উদ্ধারকারী দল। আবার চামোলী থেকে প্রায় ৫৩০ কিলোমিটার দূরে দিল্লিতে শুরু হয়েছে অন্য এক লড়াই— জলসঙ্কট থেকে রাজধানীকে বাঁচানোর।
তপোবন, রেইনি এলাকা থেকে কালই উদ্ধার করা হয়েছে ১৩টি দেহ। আজ আরও তিন জনের দেহ মিলেছে তপোবন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। ফলে হড়পা বানে মৃতের সংখ্যা দাঁডিয়েছে ৫৪। এখনও নিখোঁজ প্রায় দেড়শো। তপোবনে উদ্ধারকাজ চালানোর সময়ে যদি জীবন্ত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়, তার দ্রুত চিকিৎসার জন্য রাখা হয়েছে হেলিকপ্টার। কিন্তু সুড়ঙ্গ থেকে একের পর এক মৃতদেহই বেরিয়ে আসছে।
দিল্লিতে কিন্তু অন্য সঙ্কট। হড়পা বানের জেরে আপার গঙ্গা ক্যানাল-এর জলে কাদামাটি ও আবর্জনার পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে জল সরবরাহের একটা বড় অংশ এই ক্যানালের উপরেই নির্ভরশীল। তবে জল নোংরা হওয়ায় দিল্লির সনিয়া বিহার ও ভাগীরথী জলশোধন কেন্দ্রগুলির ক্ষমতা কম করে চালু রাখা হয়েছে। দিল্লি জলবোর্ড ‘বিচারবিবেচনা করে’ নাগরিকদের পানীয় জল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। আজই দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় জল সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। আগামী দিনে পূর্ব, দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে জল সরবরাহ প্রভাব
পড়তে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy