ফাইল চিত্র।
উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ অব্যাহত।
রাজনীতিতে যোগদানের আগে এক সময়ে ঠাণে শহরে অটোরিকশ চালিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ। গত কাল দলের এক কর্মসূচিতে সেই অটোরিকশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছিলেন উদ্ধব। আজ তার জবাব দিয়েছেন একনাথ। বলেছেন, ‘মার্সিডিজ়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে অটোরিকশ’।
দলের এক কর্মসূচিতে শিবসেনা উদ্ধব বলেছিলেন, বিধানসভায় দেবেন্দ্র ফডণবীস (মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী) শিন্ডেকে চুপ করতে বলছেন। উদ্ধব বলতে থাকেন, ‘‘কিন্তু তিনি (একনাথ) থামবেন কী ভাবে? অটোরিকশর ব্রেক ফেল করেছে! মহা বিকাশ আগাড়ি-কে বিজেপি কটাক্ষ করে বলতো তিন চাকার সরকার। এক সময় যে তিন-চাকার যান চালাত, এখন সে সরকার চালাচ্ছে।’’
এই কটাক্ষের জবাব দিতে দেরি করেননি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পাল্টা, ‘‘মার্সিডিজ়কে পিছনে ফেলে দিয়েছে অটোরিকশ। কারণ এই সরকার আমজনতার। এই সরকারের থেকে সর্বস্তরের মানুষ সুবিচার পাবেন। আমরা এমন ভাবে কাজ করব, প্রতিটি মানুষ ভাববেন এটা তাঁদের সরকার।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে অটোরিকশ চালাতেন একনাথ। আর উদ্ধব ঠাকরেরা মার্সিডিজ় চড়েন। কৌশলে সেই তুলনাই টেনেছেন শিন্ডে।
বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের কুর্সি দখলের পরে আজই প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন একনাথ। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৯ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়াই করলাম। কিন্তু সরকার গঠন করা হল কংগ্রেস ও এনসিপি-কে সঙ্গে নিয়ে। ফলে হিন্দুত্ব, সাভারকর, দাউদ ইব্রাহিম, মুম্বই হামলার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।’’ উদ্ধব সরকারের আমলে তাঁর অনু্গামী বিধায়কেরা কী ভাবে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন, আজ তা-ও স্পষ্ট করেছেন শিন্ডে। বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজ বিধায়কেরা করতে পারছিলেন না। শরিক দলগুলির স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে বাধা আসছিল। দলীয় নেতৃত্বকে বলেও কোনও কাজ হচ্ছিল না।’’
কংগ্রেস ও এনসিপি-কে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ে মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাওয়া ছাড়া শিবসেনার যে কোনও উপকার হচ্ছে না তা তিনি উদ্ধবকে বার বার বোঝাতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন শিন্ডে। কিন্তু কাজ হয়নি।
উদ্ধব ঠাকরের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। দলের সাংসদ রাহুল শিওয়ালে চিঠি লিখে উদ্ধবকে অনুরোধ করেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিবসেনা এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করুক। আজ লোকসভায় স্পিকারকে চিঠি দিয়ে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, লোকসভায় দলের নতুন সচেতক করা হচ্ছে রাজন বিচারেকে। তিনি ভাবনা গাউলির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy