সংসদ ভবন।
উপলক্ষ্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় ওই প্রকল্প শুরুতে চালু হয়েও পরে কেন তা বন্ধ করে দেওয়া হল, তা নিয়ে আজ ফের কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি ও তৃণমূলের সাংসদেরা। সব মিলিয়ে ফের ‘পশ্চিমবঙ্গ’ প্রশ্নে সরগরম লোকসভা।
মূল প্রশ্ন রাজ্যের এইমস পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে হলেও, অতিরিক্ত প্রশ্নে আয়ুষ্মান বিতর্ক খুঁচিয়ে দেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়। তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের কাছে জানতে চান, পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের আলোচনা হয়েছে কি না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শুরুতে পশ্চিমবঙ্গে ওই প্রকল্প চালু হয়। কিন্তু ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায় রাজ্য।’’ মন্ত্রীর দাবি, এর ফলে অসুবিধায় পড়ছেন রোগীরা। বিশেষ করে যাঁদের পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিন্ রাজ্যে চিকিৎসার প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। হর্ষ জানান, ওই প্রকল্পে পরিবারপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা রয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজনীতি না করে যাতে ওই প্রকল্প ফের শুরু করে, তার জন্য আজ তৃণমূলকে আবেদন জানান হর্ষ।
হর্ষের উত্তর চলাকালীনই বিরোধিতায় সরব হয় তৃণমূল বেঞ্চ। জবাব দিতে স্পিকারের কাছে অনুমতি চেয়ে দরবার করেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কিন্তু স্পিকার অনুমতি না দেওয়ায় কাকলি নিজের আসন থেকে উঠে গিয়ে কথা বলেন লোকসভায় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কিছুক্ষণ পরে সুদীপবাবুকে বলার অনুমতি দেন স্পিকার।
পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান ভারতের মতোই চালু রয়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। আজ লোকসভায় সেই প্রকল্পে পাঁচ লক্ষ টাকার বিমা-সহ অন্যান্য সুবিধের কথা সুদীপবাবু বিস্তারিত ভাবে বলতে যেতেই থামিয়ে দেন স্পিকার। তিনি বলেন, এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রচারের জায়গা নয়। তিনি সুদীপবাবুকে শুধু প্রশ্ন করতে নির্দেশ দেন। পরে সুদীপ হর্ষের কাছে জানতে চান, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোন রাজ্য ওই প্রকল্পে অংশ নেয়নি? জবাবে হর্ষ জানান, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ওড়িশা, দিল্লি তেলঙ্গানা, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতোও ওই প্রকল্পের আওতায় আসেনি। যদিও হর্ষের দাবি, ওড়িশা, পঞ্জাব ও রাজস্থানে ওই প্রকল্প দ্রুত চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে বুঝিয়ে রাজ্যে ওই প্রকল্প রূপায়ণে তৃণমূল সাংসদদের এগিয়ে আসার জন্যও আজ অনুরোধ করেন হর্ষ। যদিও রাজ্যের প্রকল্পে কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে অনেক এগিয়ে বলে দাবি করেন কাকলি। সংসদ কক্ষের বাইরে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য ওই প্রকল্পে যে পরিমাণ ব্যক্তি পিছু খরচ করছে, কেন্দ্র সেই অনুপাতে খরচ করতে যে ব্যর্থ তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত।’’
আর যে মূল প্রশ্নটিকে ঘিরে বিতর্ক, জয়ন্ত রায়ের সেই এইমস সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়ে দেন, কল্যাণী ছাড়া এই মুহূর্তে রাজ্যে আর কোনও এইমস গড়ার পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy