Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
UP Police

Encounter: ফের এনকাউন্টার যোগীর পুলিশের, গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টা পরেই আগরায় নিহত গ্যাংস্টার

রাজস্থানের ঢোলপুরের বাসিন্দা মুকেশের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে নানা অভিযোগ রয়েছে। তার মাথার দাম ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করেছিল যোগীর পুলিশ।

মুকেশ ঠাকুর এনকাউন্টারে জড়িত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসওজি টিম।

মুকেশ ঠাকুর এনকাউন্টারে জড়িত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসওজি টিম। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২১ ১৫:৩৩
Share: Save:

বিকাশ দুবের পর এ বার মুকেশ ঠাকুর। উত্তরপ্রদেশে ফের গ্রেফতারির পর এক গ্যাংস্টারকে এনকাউন্টারে মারল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। সোমবার ভোরে আগরার কাছে গুলির লড়াইয়ে সে নিহত হয় বলে সে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আইজি (আগরা) নবীন অরোরা বলেন, আগরা সদর থানা লাগোয়া এসএনএল গ্রাউন্ডের কাছে মুকেশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ টুইটারে জানিয়েছে, ধৃত মুকেশকে নিয়ে একটি ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে গিয়েছিল পুলিশ। হঠাৎ সে স্পেশাল অপারেশনাল গ্রুপ (এসএজি)-র এক কনস্টেবলের পিস্তল ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। মুকেশ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে পুলিশকর্মীরাও পাল্টা গুলি চালান। তাতে গুরুতর জখম হয় মুকেশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আদতে রাজস্থানের ঢোলপুর জেলার বাসিন্দা মুকেশের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার মাথার দাম ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করেছিল যোগীর পুলিশ। নবীন বলেছেন, ‘‘রবিবার আগরায় রাতে মুকেশকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর পর তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গিয়েই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে।’’ সেখানে ছিলেন তিনি এবং আগরা জেলা পুলিশের সুপার।

গত ফেব্রুয়ারিতে আগরার ইরাদত নগরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা লুঠ করেছিল মুকেশ এবং তার সঙ্গীরা। সেই অস্ত্রই উদ্ধারে গিয়েছিল পুলিশ। তবে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এনকাউন্টারে মুকেশের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

গত জুলাইয়ে বিকাশও মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়িনীতে গ্রেফতার হওয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কানপুরের কাছে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছিল। সে ক্ষেত্রেও ভুয়ো এনকাউন্টের অভিযোগ উঠেছিল। তার আগে বিকাশ গ্যাং-এর সদস্য প্রেমপ্রকাশ পাণ্ডে, অতুল দুবে, অমর দুবে, প্রভাত মিশ্র, প্রবীণ ওরফে বৌবা দুবেকেও সাজানো সংঘর্ষে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের পুলিশের বিরুদ্ধে।

২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই কুখ্যাত অপরাধীদের উদ্দেশে ‘ঠোক দুঙ্গা’ নীতি নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন আদিত্যনাথ। তার পর থেকেই পর পর এনকাউন্টার হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। নিহত হয়েছেন পুলিশের খাতায় নানা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত শতাধিক ‘অপরাধী’। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সেই এনকাউন্টার আদৌ কতগুলি সঠিক কতগুলিই বা ভুয়ো।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE