হাতির নিচে আটকে গেলেন মহিলা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
পুণ্য অর্জনের জন্য কত লোকে কত কিছুই না করেন। কেউ কেউ নিজেদেরকে বিপদেও ফেলে ফেলেন। কিন্তু এই মহিলা পুণ্য অর্জন করতে গিয়ে যা করলেন তা দেখে আপনিও হাসি চাপতে পারবেন না। গুজরাতে এক মন্দিরে গিয়ে হাতির মূর্তির নীচ দিয়ে গলতে গিয়ে আটকে গেলেন এক মহিলা। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অন্য দিনের মতোই গিয়েছিলেন মন্দিরে। কিন্তু এ দিন মনে হয় একটু বাড়তি পুণ্য অর্জন করতে চাইছিলেন ওই মহিলা। মন্দিরে একটি হাতির মূর্তি রয়েছে। বিশ্বাস, ওই হাতির নীচ দিয়ে গলতে পারলে সৌভাগ্য লাভ হবে। সেই চেষ্টাই করছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু তিনি ঠিক হাতির পায়ের ফাঁক ও নিজের শরীরের মাপ নিয়ে অতটা ভাবেননি। তাই কোনও দ্বিধা না করেই ভগবানের ওপর বিশ্বাস রেখে হাতির নীচ দিয়ে গলতে চেয়েছিলেন।
মন্দিরেই উপস্থিত কেউ মহিলার ওই পুণ্য অর্জনের চেষ্টার ভিডিয়ো তুলে রাখেন। পরে সেটি ফেসবুকে আপলোডও করেন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি ছোট্ট হাতির মূর্তি, তার শুঁড়ে সিঁদুর মাখানো রয়েছে। ওই মহিলা ছোট্ট হাতির মূর্তির নীচ দিয়ে নিজের পুরো শরীরটিকে গলিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। শরীরের অর্ধেকটা পার হওয়ার আগেই আটকে যান মহিলা। কিছুতেই আর অন্য দিক দিয়ে বেরতে পারছেন না। প্রথমে একাই চেষ্টা চালিয়ে যান নিজেকে টেনে বার করার। কিন্তু সব চেষ্টাই বিফলে যায়।
আরও পড়ুন : কুৎসিততম, তাই বড় অঙ্কের পুরস্কার, ভাবা যায়!
আরও পড়ুন : নকল সিংহ ধরার প্রশিক্ষণ দেখে হতবাক ‘আসল’ সিংহরা
প্রথমবার যখন তিনি দেখেন তাঁর এই পুণ্য অর্জনের চেষ্টার ভিডিয়ো করা হচ্ছে, তিনি হেসে পোজও দেন। সেই হাসি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আস্তে আস্তে তিনিও বুঝতে পারেন বিষয়টা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও যখন উদ্ধার হতে পারছিলেন না, তখন পাশাপাশি যাঁরা ছিলেন, তাঁরা এগিয়ে আসেন উদ্ধার করতে। হাত ধরে টানাটানি শুরু হয়। কিন্তু তাতেও বিশেষ কোনও সুবিধা হয় না। এবার সামনে থেকে হাত ধরে টানার পাশাপাশি শুরু হয় পিছন থেকে পা ধরে ঠেলার। অনেক টানা হ্যাঁচড়ার পর অবশেষে তিনি হাতির নিচ থেকে উদ্ধার পান।
এ যাত্রায় পুণ্য আর্জন হল কি না বা তাঁকে যাঁরা যাঁরা সাহায্য করলেন তাঁদের মধ্যেও পুণ্য ভাগ হবে কিনা কেউ জানেন না। তবে হাতির নিচ থেকে উদ্ধার পেয়ে মহিলা যে বেশ স্বস্তি পেয়েছেন তা তাঁর মুখ দেখলেই বোঝা যায়। আর তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন সবাই মিলে ‘জয় অম্বে’ ধ্বনী তোলেন।
ভিডিয়োটি ফেসবুকের সঙ্গে টুইটার, টিকটকেও শেয়ার হয়েছে। আর এমন একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হতে আর কতই বা সময় নেয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy