Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Manipur Violence

মণিপুরে হিংসা অব্যাহত, চলছে তল্লাশি অভিযানও

শনিবার রাতে পশ্চিম ইম্ফল জেলার কৌত্রুক চিন লেইকাই গ্রামে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশ গিয়ে পাল্টা গুলি চালালে বেশ কিছু ক্ষণ লড়াইয়ের পরে জঙ্গিরা পালিয়ে যায়।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:০১
Share: Save:

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ড্রোনের সাহায্যে বোমা নিক্ষেপের চেষ্টার পরে মণিপুরের স্পর্শকাতর এলাকার মানুষ আকাশ থেকে হামলার আশঙ্কাতেই রাত কাটান। ড্রোন হানার মতো ঘটনা না ঘটলেও উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে হিংসা লেগেই রয়েছে। শনিবার রাতেও বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আতঙ্ক ছড়ায় বিষ্ণুপুর ও পশ্চিম ইম্ফল জেলায়।

পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে পশ্চিম ইম্ফল জেলার কৌত্রুক চিন লেইকাই গ্রামে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশ গিয়ে পাল্টা গুলি চালালে বেশ কিছু ক্ষণ লড়াইয়ের পরে জঙ্গিরা পালিয়ে যায়। বিষ্ণুপুরের ত্রংলাওবি গ্রামেও একই ধরনের গোলাগুলি চলে।

এ দিকে, ডাক্তারের বাড়িতে গ্রেনেড নিয়ে হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুরের থৌবাল জেলা। রবিবার সকাল থেকে ইম্ফল-মোরে সড়ক অবরোধ করে ধর্নায় বসেছন খাঙ্গাবক এলাকার সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। এক বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার লাইশ্রম সোমেন জানান, শনিবার শেষ রাতে সাত জনের এক দুষ্কৃতী দল গেট ভেঙে তাঁর বাড়িতে ঢোকে। শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরোতেই দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপরে হামলা চালায়। হাতের গ্রেনেড ছুড়ে মারার হুমকি দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে চারটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয়। পরে গ্রেনেডটি বাড়িতেই ফেলে রেখে চলে যায়। পুলিশ গিয়ে সেটি নিষ্ক্রিয় করে। রাত পোহাতেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে খাঙ্গাবক এলাকার মানুষ দল বেঁধে রাস্তা দখল করেন। তাঁরা এই ঘটনার দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি করেন। পুলিশ অবশ্য বিকল্প রাস্তায় যানবাহন চালানোর ব্যবস্থা করে দেয়। পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে মণিপুরের হিংসার সম্পর্ক নেই। টাকা চাইতে গিয়ে দুষ্কৃতী দল এই কাণ্ড করতে পারে। তদন্ত চলছে।

পৃথক ঘটনায় টেংনৌপল জেলায় অভিযান চালিয়ে আসাম রাইফেলস পিপলস লিবারেশন আর্মির দুই ক্যাডারকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা হল এন প্রিয় সিংহ ও এস দেবজিৎ সিংহ। শুক্রবারও মায়ানমার সীমান্তে এক জঙ্গি ধরা পড়ে। রবার্ট লালহাদম নামে ওই জঙ্গির কাছ থেকে একটি রাইফেল বাজেয়াপ্ত হয়।

যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযানও অবশ্য অব্যাহত রয়েছে। চূড়াচাঁদপুর জেলায় এ দিনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পাঁচটি রাইফেল, একটি মর্টার, চারটি ডেটোনেটর ও একটি গ্রেনেড। থৌবাল জেলা থেকেও উদ্ধার করা হয় চারটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গুলি-বারুদ।

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy