Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Tamilnadu

Tamilnadu: জুতো, চপ্পল পরলেই শাস্তি! দেশেরই এক গ্রামে রয়েছে এই  নিষেধাজ্ঞা

জুতো পরলেই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। ঘরে তো নয়-ই, বাইরে কোথাও গেলে খালি পায়েই যেতে হয় তাঁদের!

এই গ্রামেই জুতো পরা নিষিদ্ধ। ফাইল চিত্র।

এই গ্রামেই জুতো পরা নিষিদ্ধ। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
চেন্নাই শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২২ ১৮:৩৪
Share: Save:

জুতো বা চপ্পল পরে ঘরে সাধারণত হাঁটাচলা করা হয় না। আবার কোনও ধর্মীয় স্থানে গেলে জুতো খুলে ঢোকেন পুণ্যার্থীরা। দু’একটি ক্ষেত্র ছাড়া জুতো বা চপ্পল পরতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই আমাদের দেশে। কিন্তু এ দেশেই এমন একটি গ্রাম আছে যেখানে গ্রামবাসীরা কেউই জুতো বা চপ্পল পরেন না। পরলেই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয়। ঘরে তো নয়-ই, বাইরে কোথাও গেলে খালি পায়েই যেতে হয় তাঁদের!

একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এই নিষেধাজ্ঞা অবিশ্বাস্য বলে মনে হতেই পারে। কিন্তু এই রীতিনীতিই দীর্ঘ সময় ধরেই মেনে চলছে তামিলনাড়ুর অরণ্যবেষ্টিত গ্রাম ভেলাগাভি। একশোটি পরিবার থাকে এই গ্রামে। এই গ্রামে পৌঁছনোর কোনও রাস্তা নেই। পাহাড় বেয়ে পৌঁছতে হয় বেলাগাভিতে।

গ্রামের প্রবেশপথেই একটি বড় গাছ রয়েছে। গাছটিকে পুজো করেন গ্রামবাসীরা। এই গাছটিকে ‘দেবতা’ রূপে পুজো করেন গ্রামবাসীরা। আর জুতো না পরার রীতির সূত্রপাত সেই গাছকে ঘিরেই। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, ঈশ্বরের ঘর তাঁদের এই গ্রাম। তাই কোনও পুণ্যস্থান বা ধর্মীয় স্থানে গেলে যেমন জুতো খুলে প্রবেশ করতে হয়, গোটা গ্রামকেই যে হেতু গ্রামবাসীরা ঈশ্বরের ঘর বলে বিশ্বাস করেন, তাই এই গ্রামে জুতো বা চপ্পল পরা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কেউ পরলে তাঁকে চরম শাস্তি দেওয়া হয়। কেন না গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, কেউ জুতো পরলে ঈশ্বর রুষ্ট হবেন।

এই গ্রামে ২৫টি মন্দির রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টাতেই ঘুমিয়ে পড়ে গোটা গ্রাম। এ ছাড়া আরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জোরে কথা বলা যাবে না, গান শোনা যাবে না। এত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গ্রামবাসীরা সুখেই দিনযাপন করেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Tamilnadu village shoes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy