ইনশা মুশতাক
জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির হত্যার পরে তখন অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর উপত্যকা। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই শোপিয়ানের সিডো এলাকাতেও চলছিল বিক্ষোভ। জানলা খুলে সেই বিক্ষোভের চেহারা দেখতে গিয়েছিলেন ইনশা মুশতাক। বাহিনীর ছোড়া ছররা এসে লাগে তাঁর মুখে। তখন থেকেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল। তাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ইনশা। প্রাপ্ত নম্বরে প্রথমে খুশি হননি তিনি। অবশ্য পরিবারের সদস্যদের মতে, দৃষ্টিশক্তি আছে এমন পরীক্ষার্থীদের অনেকের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন তিনি। বছর কুড়ির ইনশা স্নাতক হওয়ার পরে আইএএস হওয়ার প্রস্তুতি নিতে চান।
কাশ্মীরের সব বিশেষ ভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘২০১৬ সাল থেকেই আমি নানা বাধার মুখে পড়েছি। কিন্তু জীবনে সফল হওয়ার জন্য আমি সেই সব বাধার সঙ্গে লড়াই করছি।’’ তাঁর মতে, কাশ্মীরে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য বিশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন।
ইনশার পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও যে ইনশা তাঁর স্বপ্ন পূরণের পথে এগোতে পেরেছেন তাতে তাঁরা খুবই খুশি।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে তাঁরা মনে করেছিলেন ইনশাকে গুলি করা হয়েছে। তাঁকে প্রথমে শোপিয়ানের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরে আনা হয় শ্রীনগরে। এর পরে দিল্লির হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফেরেনি। ক্রমশ ছররা-বিরোধী আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy