রাধাকৃষ্ণণ, হিদয়াতউল্লা এবং শঙ্করদয়াল। ফাইল চিত্র।
বিজেপি জোটের জগদীপ ধনখড় না কি বিরোধীদের প্রার্থী মার্গারেট আলভা! আগামী ৬ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেই স্পষ্ট হয়ে যাবে ফল। উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের জন্য ভোটাভুটি কার্যত অনিবার্য।
তথ্য বলছে, দেশে উপরাষ্ট্রপতি পদে এ বার ষোড়শতম নির্বাচন। এক আগে ১৫ বারের মধ্যে ১১ বারই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে স্থির হয়েছে ফলাফল। মাত্র চার বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি। দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের পাশাপাশি মহম্মদ হিদয়াতউল্লা এবং শঙ্করদয়াল শর্মা রয়েছেন এই তালিকায়।
সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন ১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালে পর পর দু’বার প্রথম এবং দ্বিতীয় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন। ১৯৭৯ সালে সপ্তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন হিদয়াতউল্লা। ১৯৮৭ সালে নবম উপরাষ্ট্রপতি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই শঙ্করদয়াল শর্মা জয়লাভ করেন। ২০১৭ সালে গোপালকৃষ্ণ গাঁধীকে হারিয়ে জয়লাভ করেছিলেন বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। বেঙ্গাইয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১০ অগস্ট।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো বিধায়কেরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। ভোট দেন শুধু রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদেরা। বর্তমানে দু’কক্ষের মিলিত সাংসদ সংখ্যা ৭৮০। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৩৯১ জন সাংসদের সমর্থন। সংসদের উভয়কক্ষে শুধু বিজেপিরই সাংসদ সংখ্যা ৩৯৪। ফলে উপরাষ্ট্রপতি পদে শাসক শিবিরের প্রার্থীর জয় কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy