Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National Highway

Highways: পরিবেশ বাঁচানোর দায়বদ্ধতা না মেনেই জাতীয় সড়ক হবে সীমান্তে, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

বিমানবন্দরগুলিতে টার্মিনাল বিল্ডিংগুলির সম্প্রসারণ সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিকেও এ বিষয়ে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নয়া বিজ্ঞপ্তিতে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২২ ১৯:৪৭
Share: Save:

বছর কয়েক আগে সাংবাদিকদের ‘গল্পটা’ শুনিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। নরেন্দ্র মোদী তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। এক দিন বাড়ি ফিরে ‘চ্যানেল সার্ফ’ করতে করতেই নাকি একটি তাঁর চোখ আটকে গিয়েছিল । দেখেছিলেন, কানাডায় সড়ক নির্মাণের সময় গাছ কেটে ফেলা হয় না। যন্ত্রের সাহায্যে গোড়া থেকে সেটি উপড়ে ফেলা হয়। তার পর প্রতিস্থাপন করা হয় অন্যত্র।

এর পর কানাডা থেকে সেই যন্ত্র গুজরাতে আনিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে ডেকে মোদী সারা দেশেই সেই ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছিলেন বলেও সে দিন দাবি করেন গডকড়ী। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে সেই দাবির প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চিন লাগোয়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) এবং জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত নির্ধারক নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)-র ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ‘সামরিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা’গুলিতে পরিবেশবিধি না মেনেই জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা যাবে।

কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সীমান্ত রাজ্যগুলিতে প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কিত জাতীয় সড়ক প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’ এ ক্ষেত্রে পরিবেশ বিষয়ক ছাড়পত্র ছাড়াও প্রয়োজনে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। বিমানবন্দরগুলিতে টার্মিনাল বিল্ডিংগুলির সম্প্রসারণ সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিকেও এ বিষয়ে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE