কেবল প্রতিবেশী দেশই নয়, এ দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব আগামী দিনে পড়তে চলেছে। কারণ বর্তমান সময়ে ভারত তার সামরিক প্রয়োজন মেটানোর প্রশ্নে রাশিয়ার উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল।
ফাইল চিত্র।
মুখে আত্মনির্ভর ভারতের কথা। কিন্তু বাস্তবে প্রতিরক্ষা গবেষণা খাতে বরাদ্দ ক্রমশ কমছে বলে জানাল প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বিশেষ করে যখন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের বিবাদ চলছে, সেই আবহে গবেষণা ক্ষেত্রে ধারাবাহিক ভাবে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া আদৌ কাম্য নয় বলে সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।
কেবল প্রতিবেশী দেশই নয়, এ দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব আগামী দিনে পড়তে চলেছে। কারণ বর্তমান সময়ে ভারত তার সামরিক প্রয়োজন মেটানোর প্রশ্নে রাশিয়ার উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। কিন্তু যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার উপরে বহু দেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করায় প্রতিরক্ষা আমদানিতে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে পূর্ণ মাত্রায়। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাই বাজেটের পরে প্রতিরক্ষা বাজেট সংক্রান্ত একটি ওয়েবিনারে সামরিক ক্ষেত্রে আরও বেশি করে আত্মনির্ভরতায় জোর দেন। কিন্তু সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট বলছে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণার দায়িত্বে থাকা ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডিআরডিও)-এর বরাদ্দ মুল্যবৃদ্ধির সূচকের তুলনায় বৃদ্ধি তো পায়ইনি, বরং কমেছে। যেমন গত আর্থিক বছরে ডিআরডিও ২৩,৪৬০ কোটি টাকা চাইলেও, শেষ পর্যন্ত তাদের ঘরে ঢুকেছে ১৮,২২৭ কোটি টাকা। আগামী আর্থিক বছরে (২০২২-২৩) ডিআরডিও যে অর্থ দাবি করেছিল তার চেয়ে গোড়াতেই ১৬৫৯ কোটি টাকা কম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। আগামী দিনে এটা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে।
কেবল প্রতিরক্ষা গবেষণা ক্ষেত্রেই প্রতিবেশী চিন যেখানে বরাদ্দ কয়েক গুণ বাড়িয়েছে, সেখানে মোদী সরকার প্রতিরক্ষা বাজেটের কিছু ক্ষেত্রে তা হ্রাসের পথে হেঁটেছে বলে জানিয়েছে ওই কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত অর্থ বর্ষে নতুন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ কেনার জন্য ২,১৫,৯৯৫ কোটি টাকা চাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত মঞ্জুর হয়েছে ১,৫২,৩৬৯ কোটি টাকা। একই ভাবে তিন বাহিনীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে চাহিদার থেকে অনেক কম অর্থ মঞ্জুর করেছে মোদী সরকার। সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী গত অর্থবর্ষে যথাক্রমে ১৪,৭২৯ কোটি, ২০,০৩১ কোটি, ২৮,৪৭১ কোটি টাকা কম পেয়েছে। ফলে কিছু আধুনিকীকরণের কাজ থমকে গিয়েছে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ওই রিপোর্টে প্রতিবেশী দুই দেশের কথা মাথায় রেখে বিশেষ করে বিমানবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধির উপরে জোর দিয়েছে। ভারতে বায়ুসেনা অনুমোদিত ৪২টি স্কোয়াড্রন থাকার কথা। কিন্তু কমিটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশ কিছু স্কোয়াড্রন বসে গিয়েছে বা বসে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে। যার ফলে ক্রমশ কমছে স্কোয়াড্রন সংখ্যা। ফলে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে বায়ুসেনা। তাই অবিলম্বে বায়ুসেনায় আধুনিক বিমান যোগ করে স্কোয়াড্রন সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ওই সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy