ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিততে পারেনি। মতুয়া, নমঃশূদ্র ভোটকে পুঁজি করার চেষ্টা করলেও বিধানসভা ভোটে সাফল্য মেলেনি। উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এ বার পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসে আশ্রয় নেওয়া বাঙালি ভোটকে বিজেপির ঝুলিতে টানার চেষ্টা চালালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ উত্তরাখণ্ডের ভোটপ্রচারের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী রুদ্রপুরে জনসভা করতে গিয়েছিলেন। ষাট ও সত্তরের দশকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা বহু শরণার্থীর জন্য তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের রুদ্রপুরে পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত হয়েছিল। এখন রুদ্রপুর উত্তরাখণ্ডের উধম সিংহ নগর জেলার অন্তর্ভুক্ত। ওই পরিবারগুলির জাতিগত শংসাপত্রে এত দিন ‘পূর্ব পাকিস্তানের উদ্বাস্তু’ লেখা থাকত। গত বছর অগস্টে উত্তরাখণ্ড সরকার শংসাপত্র থেকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ প্রধানমন্ত্রী তা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘বহু বাঙালি পরিবার এখানে থাকেন। আমি মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি সরকারকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তাঁরা পুনর্বাসন পাওয়া বাঙালিদের জাতিগত শংসাপত্র থেকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’
ধামির নিজের বিধানসভা খটিমা কেন্দ্রটিও উধম সিংহ নগর জেলায়। রুদ্রপুর ছাড়াও গদরপুর, সিতারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বাঙালির সংখ্যা প্রচুর। বাঙালিরা অনেক দিন ধরেই জাতিগত শংসাপত্র থেকে পূর্ব পাকিস্তান সরানোর দাবি করছিলেন। এনআরসি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পরে ভবিষ্যতে কোনও রকম সমস্যা এড়াতে এই দাবি আরও জোরালো হয়। উত্তরাখণ্ডের সামাজিক ন্যায় দফতর প্রথমে ‘পূর্ব পাকিস্তানে’র বদলে ‘পূর্ব বাংলা’ লেখার প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রিসভা এই ধরনের কোনও উল্লেখই না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বাঙালিদের মন জয়ের চেষ্টা করলেও আজ রুদ্রপুরে শিখ কৃষকরা মোদীর সভায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁদের আটক করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy