ফাইল চিত্র
করোনা মোকাবিলায় চরম অব্যবস্থার পর এ বার ডেঙ্গির চিকিৎসা নিয়েও উত্তরপ্রদেশের বেহাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ছবি সামনে এসেছে। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত পশ্চিম ফিরোজ়াবাদের সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তদের পরিবার পরিজনের হাহাকার সেই কথাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
লখনউ থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফিরোজ়াবাদে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০ জন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এর মধ্যে অনেকেই শিশু। এই পরিস্থিতিতে গত কাল বিকেলে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন আগরার ডিভিশনাল কমিশনার অমিত গুপ্ত। রোগীদের অবস্থা দেখে হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ে তাঁর গাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে পড়েন নিকিতা কুশওয়াহা নামে এক তরুণী। নিকিতার এক বোন তখন ওই হাসপাতালে ভর্তি। সরকারি হাসপাতালে বোনের চিকিৎসা ঠিক ভাবে হচ্ছে না— এই অভিযোগ করে তরুণীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার বোনের চিকিৎসার জন্য আপনি কিছু করুন। না হলে ও মারা যাবে।’’ স্বাস্থ্য আধিকারিকের গাড়ির সামনে থেকে ওই তরুণীকে সরিয়ে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। কিছু ক্ষণ পরেই নিকিতার বোন ১১ বছরের বৈষ্ণবী কুশওয়াহার মৃত্যু হয়। গাফিলতির অভিযোগ এনে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করার দাবি তুলেছেন ওই তরুণী।
মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে আজ সকালেও। ডেঙ্গি আক্রান্ত এক কিশোরীকে কোলে নিয়ে সকালে হাসপাতালে পৌঁছন তাঁর বাবা। কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। গত কাল স্বর্ণা গুপ্ত নামে পাঁচ বছরের বালিকাকে সকাল ৮টার সময়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাকে ভর্তি করার জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় ছুটতে থাকে তার পরিবার। দুপুরের পর সে হাসপাতালে জায়গা পায়। কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় বালিকার। একটি টেলিভিশনে শিশুটির দাদা বলেন, ‘‘সময় মতো চিকিৎসা পেলে আমার বোন বেঁচে যেত। আমরা ওর পরিস্থিতি হাসপাতালের কর্মীদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কথায় কান দেওয়া হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy