বর্ষবরণের রাতে লখনউয়ের হোটেলে ছেলের সঙ্গে মিলে একে একে খুন করেছিলেন স্ত্রী ও চার কন্যাকে। এ বার সেই ঘটনার ২৭ দিন পর পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ফেরার বাবা! দীর্ঘ দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর সোমবার ওই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বদরুদ্দিন ওরফে বদর। অভিযোগ, ছেলে আরশাদের সঙ্গে মিলে গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী ও চার মেয়েকে খুন করেছিলেন বদর। বর্ষবরণের রাতেই লখনউ যান ওই পরিবারের সদস্যেরা। সকলে মিলে শহরের চারবাগ এলাকার শরণজিৎ হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানেই হোটেলের ঘরে চার বোন এবং মাকে খুন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বছর ২৪-র আরশাদ। জানান, রাতে খাওয়াদাওয়ার পর পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন করেছেন তিনি। খবর পেয়ে পর দিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে মা আসমা (৪৯), এবং চার বোন—আলিয়া (৯), আলিশা (১৯), আকসা (১৬) এবং রেহমিন (১৮)-র দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যুবককে জেরায় জানা যায়, মা এবং চার বোনের খাবার আর পানীয়ের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দিয়েছিলেন যুবক। তাতে তাঁরা ঝিমিয়ে পড়েন। সেই সুযোগেই তাঁদের শ্বাসরোধ করে খুন করেন যুবক। পুরো কাজে তাঁর বাবাও সহায়তা করেন। এমনকি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে একটি ব্লেডের সাহায্যে স্ত্রী ও মেয়েদের হাতের শিরাও কেটে দেন বাবা।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার সময়েই আরশাদ জানিয়েছিলেন, এই পরিকল্পনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন তাঁর বাবা বদর। বদায়ুঁতে একটি সম্পত্তি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে এক প্রতিবেশীর অশান্তি চলছিল। ওই প্রতিবেশীর হাত থেকে মা এবং বোনদের বাঁচাতেই ছেলের সঙ্গে মিলে পাঁচ জনকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন বদর। এর পরেই ফেরার বদরের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে পুলিশ। বদরের খোঁজে ২৫ হাজার টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি থানায় এবং সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর ছবি। দীর্ঘ চেষ্টার পর শেষমেশ ওই ঘটনার ২৭ দিন পর গ্রেফতার হলেন বদর। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। কেন তিনি নিজের স্ত্রী ও চার মেয়েকে খুন করলেন, জানতে নতুন করে শুরু হয়েছে তদন্ত।