পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভের সময়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ছয় পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে নারাজ যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।
গত ২০ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের সময়ে নিহত হন সুলেমান নামে এক ব্যক্তি। তাঁর পরিবারের দাবি, শুক্রবার নমাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়ে বিজনৌরের পুলিশ ইন-চার্জ আশিস তোমর-সহ কয়েক জন পুলিশকর্মী তাঁকে পাশের একটি গলিতে নিয়ে গিয়ে গুলি করে। পরে বিজনৌর পুলিশ ওই ঘটনার কথা স্বীকারও করে।
গত কাল বিজনৌরের এসপি (গ্রামীণ) বিশ্বজিৎ শ্রীবাস্তব জানান, সুলেমানের নিহত হওয়ার ব্যাপারে এসএইচও এবং অন্য পাঁচ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে অবশ্য তিনি জানান, আইনি জটিলতার কারণে আলাদা এফআইআর সম্ভব নয়। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সুলেমানের পরিবার।
আরও পড়ুন: ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ রাওয়তই
ওই দিনই বিজনৌরে আনাস নামে আর এক ব্যক্তি নিহত হন। নিহতের বাবা আরশাদ হুসেনের অভিযোগ, সাত মাসের ছেলের জন্য দুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন আনাস। ওই পুলিশকর্মীরাই তাঁকে হত্যা করেছে।
সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দিল্লি পুলিশের এক প্রাক্তন কনস্টেবল রাকেশ ত্যাগী। গত কাল একটি ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘গুলি করার হুঁশিয়ারি দিয়ে অন্যায় করিনি।’’ তাঁর দাবি, যে কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, একই কারণে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কেন গ্রেফতার করা হবে না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy