এই গাড়িতে করেই ফিরোজকে আনছিল পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
বিকাশ দুবের পর ফিরোজ় আলি। দুষ্কতীকে ধরে আনার পথে ফের উল্টে গেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গাড়ি। এ বারে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ বছর বয়সি ‘গ্যাংস্টার’ ফিরোজ় আলি ওরফে শমী-র। রবিবার রাতে ভোপাল থেকে ২১৪ কিলোমিটার দূরে গুনায়, ৪৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানাচ্ছে, মুম্বইয়ে গ্রেফতার করে ফিরোজ়কে লখনউয়ে নিয়ে যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দল। ধৃতের শনাক্তকরণের জন্য সঙ্গে নেওয়া হচ্ছিল ফিরোজ়ের আত্মীয় আফজ়লকে। রবিবার রাতে গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ে। রাজগঢ়ের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ফিরোজ়কে মৃত ঘোষণা করা হয়। আফজ়ল, পুলিশের এএসআই জগদীশ পাণ্ডে, কনস্টেবল সঞ্জীব সিংহ ও গাড়িচালক সুলভ মিশ্র জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুনার পুলিশ সুপার রাজেশকুমার সিংহ জানিয়েছেন, আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
রাজগঢ়ের এসপি প্রদীপ শর্মা জানিয়েছেন, বহরাইচের বাসিন্দা ফিরোজ়ের বিরুদ্ধে ‘উত্তরপ্রদেশ গ্যাংস্টার অ্যান্ড অ্যান্টিসোশ্যাল অ্যাক্টিভিটিজ় প্রিভেনশন অ্যাক্ট’-এ বেশ কয়েকটি মামলা ছিল লখনউয়ের ঠাকুরগঞ্জ থানায়। ছ’বছর ধরে ফেরার ছিল সে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ খবর পায়, সে এখন মুম্বইয়ের নালাসোপারায় থাকে। পুলিশের একটি দল গিয়ে সেখানে প্রথমে আফজ়লকে তোলে ও তার পরে ফিরোজ়কে গ্রেফতার করে লখনউয়ের পথে রওনা দেয়। গাড়িচালক সুলভ পুলিশকে জানিয়েছেন, পথে একটি নীলগাই এসে পড়ায়, সেটিকে বাঁচাতে গিয়েই বেসামাল হয়ে পড়েছিল গাড়ি।
গত জুলাইয়ে উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিকাশ ধরা পড়েছিল উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ উত্তরপ্রদেশের সীমানায় তাকে সেই রাজ্যের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কানপুরের কাছে উল্টে যায় পুলিশের গাড়ি। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পরই বিকাশ পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে পালাতে চেষ্টা করেছিল। সেই বন্দুক থেকে গুলি চালাতে থাকলে পুলিশের পাল্টা গুলিতে সে নিহত হয়। অভিযোগ ওঠে, এটা আসলে সংঘর্ষের নাম করে খুন। ফিরোজ়ের মৃত্যু অবশ্য দুর্ঘটনায়। পুলিশ ছাড়াও দুর্ঘটনার অন্য প্রত্যক্ষদর্শী আছে— মৃতের আত্মীয়, আফজ়ল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy