Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Gang Rape

১৫ দিনের লড়াই শেষ, উত্তরপ্রদেশে ‘গণধর্ষিতা’ তরুণীর মৃত্যু দিল্লিতে

দলিত সম্প্রদায়ের ওই মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় চার অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত চার জনই উচ্চবর্ণের।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি ও লখনউ শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০:৪৪
Share: Save:

১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন উত্তরপ্রদেশের ‘গণধর্ষিতা’ মহিলা। ওই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে আট বছর আগে দিল্লিতে নির্ভয়া গণধর্ষণের স্মৃতি। হাথরসের মহিলাকেও গণধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর উপর নৃশংস অত্যাচার চালায় দুষ্কৃতীরা। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (জেএনএমসি)-এ চিকিৎসা চলছিল তাঁর। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সোমবার স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে। সেখানেই মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দলিত সম্প্রদায়ের ওই মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় চার অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত চার জনই উচ্চবর্ণের।

জেএনএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছে মহিলার উপর। প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করে দুষ্কৃতীরা। মুখমণ্ডলে একাধিক জায়গা, জিভে কামড়ের গভীর ক্ষত। শিরদাঁড়া ও ঘাড় মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অসাড় ছিল দুই পা এবং একটি হাত। আইসিইউ-তে রেখে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয় দিল্লির হাসাপাতালে পাঠানোর।

নির্যাতিতার ভাই বলেন, ‘‘গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরস এলাকায় বাড়ির কাছেই একটি জমিতে মা ও আমার সঙ্গে জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন দিদি। বিকেলের দিকে আমি বাড়িতে চলে আসি। মায়ের থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন দিদি। সেই সময় পিছন থেকে দিদিকে আক্রমণ করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টানতে টানতে একটি বাজরা খেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচার চালায় ও গণধর্ষণ করে। পরে মা খুঁজতে খুঁজতে দিদিকে উদ্ধার করেন অচৈতন্য অবস্থায়।’’

আরও পড়ুন: সুশান্তের ময়নাতদন্তের পর্যালোচনা ও ভিসেরা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিল এমস

আরও পড়ুন: ভোট নিয়ে শাহের বৈঠক হবে দিলীপ-মুকুলের সঙ্গে

পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে নিহত মহিলার পরিবার। মহিলার ভাই বলেন, ‘‘পুলিশ প্রথমে আমাদের কোনও কথাই শুনতে চায়নি। দ্রুত পদক্ষেপ করেনি। ঘটনার চার-পাঁচ দিন পর তদন্ত শুরু করেছে।’’ যদিও হাথরসের পুলিশ অফিসার প্রকাশ কুমার বলেন, ‘‘ঘটনার পরে পরেই প্রথমে গ্রেফতার করা হয় এক জনকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বাকি তিন জনের নাম জানার পর দ্রুত তাদেরও ধরা হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, খুনের চেষ্টা, তফসিলি জাতি ও জনজাতি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে চলছে চার্জশিট তৈরির প্রক্রিয়া। তবে মহিলার মৃত্যুর পর এ বার খুনের চেষ্টার বদলে খুনের মামলা দায়ের করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

অন্য বিষয়গুলি:

Uttar Pradesh Gang Rape Delhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE