প্রতীকী ছবি- শাটারস্টক।
উত্তরপ্রদেশের কস্তুরবা গাঁধী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অনামিকা শুক্ল। রাজ্য সাধারণ শিক্ষা দফতরের অধীনে তিনি একই সঙ্গে ২৫টি স্কুলে শিক্ষকতা করেন! এতগুলি স্কুলের শিক্ষিকা হিসাবে তিনি গত এক বছরে প্রায় এক কোটি টাকা পেয়েছেন বেতন হিসাবে। গল্প নয়, এ রকমই ঘটনা সম্প্রতি ধরা পড়েছে উত্তরপ্রদেশে। সেখানকার শিক্ষকদের জন্য ডিজিট্যাল ডেটাবেস তৈরির সময় সামনে এসেছে এই ঘটনা। তার পরই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সে রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
পূর্ণ সময়ের শিক্ষিকা হিসাবে কস্তুরবা গাঁধী বালিকা বিদ্যালয়ে কাজ করলেও, তিনি নাকি আরও ২৫টি স্কুলে নিযুক্ত। অমেথী, অম্বেদকরনগর, রায়বরেলী, প্রয়াগরাজ, আলিগড় সহ আরও কয়েকটি জেলার স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন তিনি। এই সব স্কুলের শিক্ষিকা হিসাবে ১৩ মাসে প্রায় এক কোটি টাকা বেতন তুলেছেন। সম্প্রতি সেখানকার শিক্ষা দফতর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডিজিট্যাল ডেটাবেস তৈরি করে। তা করতে গিয়েই দেখা যায়, অনামিকা শুক্ল নামের ওই শিক্ষিকা ২৫টি ভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত।
এর পরই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় সেখানকার শিক্ষা দফতর। বিভিন্ন স্কুলগুলিতে তাঁর সম্পর্কে জানানো হয়। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে থাকা নথিপত্র থেকে জানা গিয়েছে অনামিকার বাড়ি মৈনপুরীতে। ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল রায়বরেলীর একটি স্কুলে। এর পর থেকেই বেপাত্তা হয়েছেন অনামিকা।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৯৮৫১
কোন কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর বেতনের টাকা জমা হত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই টাকা অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে সরিয়ে রাখা হত কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্কুল এডুকেশনের ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় কিরণ আনন্দ বলেছেন, ‘‘বেপাত্তা ওই শিক্ষিকার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।’’ প্রেরণা নামের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে হাজিরা নিশ্চিত করতে হত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। প্রযুক্তি এড়িয়ে কী ভাবে এতগুলি স্কুলে অনামিকা হাজিরা দিতেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী সতীশ দ্বিবেদী বলেছেন, ‘‘দফতরের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছ। অভিযোগ সত্যি হলে, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের সরকার আসার পর থেকেই দফতরে স্বচ্ছতা আনার কাজ করেছে। সে জন্যই ডিজিট্যাল ডেটাবেস তৈরির কাজ চলছে।’’
আরও পড়ুন: মাত্র তিন মিনিটের জন্য বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেল মেয়ে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy