সীমা হায়দরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড (এটিএস)। — ফাইল চিত্র।
সীমা হায়দরের থেকে পাঁচটি পাকিস্তান প্রশাসন স্বীকৃত পাসপোর্ট, একটি ব্যবহার না করা পাসপোর্ট এবং একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জানাল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পাকিস্তান থেকে বেআইনি ভাবে নেপাল দিয়ে এ দেশে ঢুকে পড়েছিলেন সীমা। তাঁকে দু’দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড (এটিএস)। তার পরেই পুলিশ এগুলি উদ্ধার করেছে।
উত্তপ্রদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের তরফে (ডিজিপি) জানানো হয়েছে, সীমার থেকে চারটি মোবাইল ফোন এবং দু’টি ভিডিয়ো ক্যাসেট মিলেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিজির দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বেআইনি ভাবে এ দেশে প্রবেশ করা নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে জেলা পুলিশ। আপাতত, সব অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।
এর আগে এক এটিএস আধিকারিক জানিয়েছেন, সীমার বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশের নেপথ্য কারণ চরবৃত্তি কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই নিয়ে সীমা, তাঁর স্বামী সচিন মিনা এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল সিংহকে জেরা করা হচ্ছে। এই নিয়ে গোয়েন্দা বিভাগ (আইবি) এবং উত্তরপ্রদেশ এটিএসকে তদন্তের জন্য লিখেছে গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ।
সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘গত ১০ মার্চ পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দর থেকে শারজা বিমানবন্দরে পৌঁছন সীমা। সেখান থেকে ১৫ দিনের পর্যটন ভিসায় কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছন। ১৭ মার্চ একই ভাবে তিনি আবার নেপাল থেকে পাকিস্তানে ফিরে যান।’’ সেই চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, ৮ মার্চ সচিন গোরখপুরে যান। ৯ মার্চ সেখান থেকে সৌনাউলি সীমান্তে যান। তার পর যান কাঠমান্ডু। ১০ মার্চ তিনি কাঠমান্ডু পৌঁছে নিউ বিনায়ক হোটেলে একটি ঘর ভাড়া নেন। এর পর বিমানবন্দর থেকে সীমাকে নিয়ে ওই হোটেলে যান। ১৭ মার্চ পর্যন্ত সেই হোটেলেই ছিলেন দু’জন।
১০ মে দ্বিতীয় বার সীমা পাকিস্তান ছাড়েন। সে বার ১৫ দিনের পর্যটন ভিসা নিয়ে পাকিস্তান ছেড়েছিলেন। করাচি বিমানবন্দরে চার সন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দুবাইয়ের বিমান ধরেছিলেন। পরের দিন ভোরে দুবাই থেকে রওনা দেন নেপালে। পোখরায় একটি হোটেলে উঠেছিলেন সীমা। কোন হোটেল তাঁর মনে নেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ মে পোখরা থেকে বাস ধরে সিদ্ধার্থনগর জেলার রূপানদেহি-খুনওয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ডিজিপি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, লখনউ, আগরার মাধ্যমে গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা আসেন সীমা। সেখানে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন সচিন। সেই থেকে সেখানে রয়েছেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময় ২০১৯ সালে সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয় সীমার। সেখান থেকে প্রেম। ২২ বছরের যুবকের প্রেমে পড়ে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে আসেন ৩০ বছরের সীমা। শুধু একা নন। সঙ্গে ছিল তাঁর চার সন্তান, যাদের সবার বয়সই সাত বছরের কম। ভিসা ছাড়া নেপাল হয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে ৪ জুলাই গ্রেফতার হন সীমা। তাঁকে আশ্রয় দিয়ে গ্রেফতার হন সচিন এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল। পরে জামিনে ছাড়াও পান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy