Advertisement
E-Paper

হ্যাকিং কাণ্ডে ধৃতের রহস্য-মৃত্যু থানায়

ত্রিপুরার সর্ববৃহৎ এটিএম হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ধৃত, তুরস্কের দুই নাগরিক ও দুই বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:২৬
Share
Save

এটিএম হ্যাকিংয়ে জড়িত সন্দেহে ধৃত ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হল পশ্চিম থানার পুলিশ লক আপে। মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ এনে মামলা করেছে। পুলিশের বক্তব্য, এটা আত্মহত্যা। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি, উচ্চ আদালতের কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে এর তদন্ত করাতে হবে।

ত্রিপুরার সর্ববৃহৎ এটিএম হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ধৃত, তুরস্কের দুই নাগরিক ও দুই বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এর ভিত্তিতে পুলিশ একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে। তাতে তুর্কি নাগরিকদের জামা-কাপড় ছিল। তাদের সাহায্য করার অভিযোগে আগরতলার লঙ্কামুড়ার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সুশান্ত ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালতে পাঠানোর পরে পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে দু’দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পায়। গত কাল জিজ্ঞাসাবাদের পরে রাতে তাঁকে একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশের দাবি, তদন্তের স্বার্থে। সেখানে এটিএম হ্যাকিং-এ ব্যবহৃত জিনিসপত্র পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে হাঁটু পর্যন্ত জল থাকায় তল্লাশি বন্ধ রেখে সুশান্তকে পশ্চিম আগরতলা থানায় নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। আজ সকালে সুশান্তকে মৃত পাওয়া যায়।

সুশান্তের পরিবারের দাবি, ‘‘লক-আপে পুলিশের নির্যাতনে মারা যান সুশান্ত। এখন, গা বাঁচাতে আত্মহত্যার গল্প সাজাচ্ছে।’’ সুশান্তের বাবা পরিমল ঘোষের অভিযোগ, তার ছেলে নির্দোষ। তাকে লক-আপে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীর বিচার চেয়ে মামলা করেছি।’’ মৃতের বোন মৌসুমী ঘোষ জানান, গত কাল আদালতে দেখা হলে ভাই সতর্ক থাকতে বলে। বার বার দেখা করার জন্য পুলিশের কাছে আবদার না-করতে বলেছিল। বুঝিনি পুলিশ ওকে মেরে ফেলবে।’’

আরও পড়ুন: সিএএ বিরোধের বদলা জিএসটি! অপপ্রচার অসমে

এ দিন সকালে থানা থেকে দুই পুলিশ-কর্মী গিয়ে সুশান্তের বাড়ির লোকদের থানায় যেতে বলেন। সেখানে গেলে বলা হয়, লক-আপে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সুশান্তকে জি বি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৌসুমী বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গেই জি বি হাসপাতালে যাই। পুলিশ আমাদের হাসপাতালে রেখে গায়েব হয়ে যায়। পরে দেখি ভাইয়ের দেহ মর্গে।’’ জি বি হাসপাতালে উত্তেজিত জনতা অসীম পাল নামে এক কনস্টেবলকে আক্রমণ করে। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে।

ATM ATM Hacking

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}