দিল্লিতে ফিরতে চলেছে এই ছবি। তবে করোনার জন্য থাকবে কড়া বিধিনিষেধও।
দিল্লি মেট্রো চালু হচ্ছে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে। শনিবার আনলক-৪ এর গাইডলাইনে এই ঘোষণার পরের দিনই করোনাউত্তর পরিস্থিতিতে মেট্রোর প্রাথমিক রূপরেখা জানিয়ে দিল দিল্লি সরকার। জানানো হয়েছে, কামরায় বাতানুকুল ব্যবস্থা থাকবে না। মাস্ক, থার্মাল স্ক্রিনিং, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ডেই যাতায়াত করা যাবে বলে জানিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবাল প্রশাসন। বন্ধ রাখা হচ্ছে টোকেন দেওয়া। আপাতত সব স্টেশনও চালু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দিল্লির পরিবহণমন্ত্রী কৈলাস গহলৌত। প্রত্যেক কামরায় যাত্রীসংখ্যাও নির্দিষ্ট থাকবে। তবে বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে এত বিধিনিষেধ মেনে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় দিল্লির মেট্রো কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য প্রশাসন।
৭ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতা মেট্রো চালু হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। শনিবার আনলক-৪ এর নির্দেশিকা জারির পর কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু দিল্লি মেট্রোর এই গাইডলাইন সামনে আসার পর ওয়াকিবহাল শিবির মনে করছে, কলকাতা মেট্রো চালু হলে এখানেও প্রায় একই রকম সুরক্ষাবিধি ও নিয়মকানুন চালু হবে।
শনিবার আনলক-৪ এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। তাতে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো পরিষেবা চালানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সেই মতো দিল্লি সরকার ৭ সেপ্টেম্বর থেকেই মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই রদবদল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির পরিবহণমন্ত্রী কৈলাস গহলৌত। তিনি জানিয়েছেন, মেট্রোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। কিন্তু আগেকার এসি কামরাগুলিতে যাতে পর্যাপ্ত মুক্ত হাওয়া থাকে, তার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: উৎসবের দিনে ‘দো গজ কি দূরি, মাস্ক জরুরি’, ‘মন কি বাত’-এ বার্তা মোদীর
বারবার টোকেন হাতবদলের ফলে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই টোকেন ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হচ্ছে— জানিয়েছেন কৈলাস। তিনি বলেন, ‘‘টোকেন পদ্ধতি পুরোপুরি বন্ধ রাখা হচ্ছে। কারণ, এই টোকেন থেকে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তা ছাড়া প্রতি বার টোকেন স্যানিটাইজ করাও সম্ভব নয়। যাত্রীরা স্মার্ট কার্ড বা অন্য রিচার্জের পদ্ধতি ব্যবহার করবেন।’’ প্রথম ধাপেই সব স্টেশন চালু হচ্ছে না বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘কন্টেনমেন্ট জোনের স্টেশনগুলি খোলা হবে না। সেগুলি ছাড়াও আরও কিছু স্টেশন বন্ধ রাখা হবে। সেই বন্ধ থাকা স্টেশনের তালিকা তৈরি করে জনসাধারণকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
এর বাইরেও একগুচ্ছ বিধিনিষেধ থাকছে যাত্রীদের জন্য। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। স্টেশনে ঢোকার আগে প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করবেন মেট্রোর কর্মীরা। রাখা হবে স্যানিটাইজারও। মেট্রোর প্রতিটি কামরায় যাত্রী সংখ্যাও নির্দিষ্ট থাকবে। তবে সেই সংখ্যা কত হবে, তা এখনও জানায়নি দিল্লি প্রশাসন। সেটা পরে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত, মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বে তৃতীয় ভারত
প্রায় সাড়ে চার মাস পর চালু হচ্ছে দিল্লি মেট্রো। স্বাভাবিক ভাবেই আমজনতার মধ্যে কিছুটা উৎসাহ ফিরেছে। যদিও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তা এড়ানো যাচ্ছে না। গত সপ্তাহেই দিল্লিতে মেট্রো চালুর অনুমতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। পরিবহণমন্ত্রী কৈলাস গহলৌত বলেন, ‘‘আমি খুব খুশি যে দীর্ঘ সময় বাদে দিল্লির মানুষ মেট্রোয় চড়তে পারবেন। কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বারবার কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছেন অর্থনীতির হাল ফেরাতে সাধারণ মানুষকে অফিস-কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য। আর সেই ক্ষেত্রে দিল্লি মেট্রোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy