পুদুচেরির সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় আস্থাভোটে হেরে কংগ্রেস সরকারের পতন হলেও বিধানসভা ভোটের মাস আড়াই আগে পুদুচেরিতে বিকল্প সরকার গড়ার ঝুঁকি নিল না বিজেপি। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে দক্ষিণ ভারতের এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্ত হল। তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
গত সোমবার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন কংগ্রেস নেতা ভি নায়ারণস্বামী। এর পরেই বিরোধী জোটের বৃহত্তম দল এনআর কংগ্রেসের নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন রঙ্গস্বামীর নেতৃত্বে বিকল্প সরকার গড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার বুধবার পুদুচেরি বিধানসভা ভেঙে নির্ধারিত সময়ে নতুন ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ মঙ্গলবার নারায়ণস্বামীর ইস্তফা গ্রহণ করার পর পুদুচেরির দায়িত্বপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নর তামিলিসাই সৌন্দরারাজনও বিধানসভা ভেঙে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করেছিলেন।
৩৩ আসনের পুদুচেরি বিধানসভায় বর্তমানে আসন সংখ্যা ২৬। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় পরিষদীয় সংখ্যা ১৪। এর মধ্যে এনডিএ জোটের শরিক এনআর কংগ্রেসের ৮ এবং তার সহযোগী এমডিএমকে-র ৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে একটিও আসনে না জিতলেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে উপরাজ্যপাল মনোনীত ৩ জন বিধায়কই বিজেপি-র। অন্য দিকে কংগ্রেসের ৯ এবং সহযোগী নির্দল আর ডিএমকে-র ১ জন করে বিধায়ক রয়েছেন।
অর্থাৎ পাটিগণিতের হিসেবে বিকল্প সরকার গড়ার সুযোগ ছিল বিজেপি জোটের সামনে। কিন্তু আগামী এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই পুদুচেরিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে সহযোগীদের নিয়ে নয়া সরকার গড়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নতুন রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াতে চাইলেন না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, কেরলের মতো পুদুচেরিতেও পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতার পালাবদলের ইতিহাস রয়েছে। রাষ্ট্রপতি শাসনের আওতায় বিধানসভা নির্বাচন হলে এ বার এনআর কংগ্রেস-এডিএমকে-বিজেপি জোটের জয় কার্যত নিশ্চিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy