রোগ প্রতিরোধ, রোগের চিকিৎসা এবং দেশবাসীর সার্বিক ভাল থাকার উপরে খরচ হবে বিপুল অর্থ।
অতিমারি পরিস্থিতি আর টিকাকরণের জন্য এ বারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়বে, অনুমান ছিলই। সোমবার সেই হিসাব মিলিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ‘স্বাস্থ্য ভাল থাকলে দেশ ভাল থাকবে’— এই ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়েই দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমাণ ১৩৭ শতাংশ বাড়ালেন নির্মলা। অর্থমন্ত্রী জানালেন, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে স্বাস্থ্য খাতে ২ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে কেন্দ্র।
গত বছর বাজেটে দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ৯৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন নির্মলা। যা কিনা দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৃদ্ধির মাত্র ১.৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য বরাদ্দ হিসেবে ভারতের মতো দেশে তো বটেই, যে কোনও বড় অর্থনীতির দেশেও যে অঙ্কটা বেশ কম। তা গত বছরই চিহ্নিত করেছিলেন বহু বিশেষজ্ঞ। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তারই প্রতিফলন মিলল এ বারের বাজেটে। তবে এ ক্ষেত্রে অতিমারি বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
করোনার টিকাকরণের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের পাশাপাশি ৬৪ হাজার ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর স্বাস্থ্য যোজনার জন্য। এই টাকা আগামী ৬ বছরে খরচ করবে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের তিনটি মূল বিষয়— রোগ প্রতিরোধ, রোগের চিকিৎসা এবং দেশবাসীর সার্বিক ভাল থাকার উপরেই খরচ করা হবে ওই অর্থ। দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই তিনটি বিষয়েই গুরুত্ব আরোপ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে বাজেটে। ১৫টি নতুন জরুরি স্বাস্থ্যপরিষেবা কেন্দ্র তৈরি করবে সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-এর জন্য একটি স্থানীয় গবেষণা কেন্দ্র এবং ভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য ৪টি নতুন গবেষণাগার তৈরি হবে। স্যানিটাইজেশনের পাশাপাশি জল এবং বায়ু দূষণ রুখতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৮২ হাজার কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় বরাদ্দের অঙ্ক বাড়ানোর প্রসঙ্গ তুলে নির্মলা বলেন, ‘‘গত অর্থবর্ষের ৯৪,৪৫২ কোটি টাকার থেকে অনেকটা বাড়িয়ে ২ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে এ বারের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বাজেট।’’ প্রসঙ্গত, বাজেট পেশের আগেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছিলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর উন্নতিতেই লুকিয়ে আছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। গত বছরের ভুল শুধরে এ বার তাঁদের পরামর্শই মেনে নিলেন নির্মলা। এক ধাপে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়িয়ে দিলেন ১৩৭ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy