ভারতের ১,২৭৫টি রেলস্টেশনের মানোন্নয়ন করবে কেন্দ্র। যেখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থেকে শুরু করে সমস্ত সুযোগ সুবিধা! একই সঙ্গে যাত্রীদের জন্য উন্নত মানের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থাও থাকবে স্টেশনগুলিতে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিল রেল মন্ত্রকের পরামর্শদাতা সাংসদদের কমিটি। রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পের আওতায় ১,২৭৫টি স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের রানি কমলাপতি, গুজরাতের গান্ধীনগর এবং কর্নাটকের স্যর এম বিশ্বেশ্বরাইয়া রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হয়েছে। যেখানে যাত্রীদের জন্য উন্নত মানের খাবারের জায়গা, বিশ্রামকক্ষ, রকমারি দোকান-সহ একাধিক সুবিধা রয়েছে।
রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক ভাবে এই তিন স্টেশনের মানোন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রক। আর সেই অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেই ভারতীয় রেল বাকি স্টেশনগুলির মানোন্নয়নের জন্য উদ্যোগী হয়েছে বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভারতীয় রেলে প্রতি দিন প্রায় ১.৮ কোটি যাত্রী যাতায়াত করেন। যাত্রীদের জন্য ট্রেন এবং স্টেশনগুলিতে পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর। রেল মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, যাত্রীদের খাবার সরবরাহে দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন আনার জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে মন্ত্রক। কিন্তু খাবারের পরিষেবা আরও উন্নত করতে এবং যাত্রীদের পছন্দের খাবার সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে আরও সচেষ্ট হচ্ছে ভারতীয় রেল।
সরকারি বিবৃতি অনুসারে, রেলপথ মন্ত্রকের পরামর্শদাতা সাংসদsরা অনেক দিন ধরেই রেলের পরিষেবা উন্নত করার জন্য এবং ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পের অধীনে রেলস্টেশনগুলির সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছিলেন। আর তা নিয়ে আলোচনা করতেই বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। বেশ কয়েক জন সাংসদও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।