ছবি: পিটিআই।
অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা রূপায়ণ কমিটির রিপোর্টকে ঘিরে। কমিটি রিপোর্ট চূড়ান্ত করলেও, রিপোর্টে বেশ কিছু বিতর্কিত ও সংবেদনশীল সুপারিশ থাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তা গ্রহণ করেননি। কারণ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগেভাগেই ঘোষণা করে রেখেছেন, কমিটির রিপোর্ট পেলেই তা কার্যকর করা হবে। কিন্তু সুপারিশগুলি কার্যকর করতে গেলে সিএএ ও এনআরসির সঙ্গে সরাসরি সংঘাত তৈরি হবে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কমিটির সঙ্গে দেখা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সময় পাচ্ছেন না। রিপোর্ট জমা নেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবও।
এ দিকে, কমিটির মেয়াদ শেষ। সদস্যরা জানিয়েছেন, রিপোর্ট মুখ্যসচিবকে ই-মেল করা হয়েছে। এ বার যা করার রাজ্য সরকার করবে। কিন্তু মুখ্যসচিবের বক্তব্য, তিনি রিপোর্ট পাননি। কমিটির প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিপ্লব শর্মা জানান, কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেই সুপারিশগুলি সকলকে জানানো হবে। তবে তার আগেই অন্য সদস্যরা বেশ কিছু সুপারিশ ফাঁস করে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, কমিটির মূল সুপারিশগুলির মধ্যে আছে: ১৯৫১ সালের ভিত্তিতে অসমিয়ার সংজ্ঞা নির্ধারণ, অসমিয়াদের জন্য বিধানসভা, লোকসভায় ১০০ শতাংশ পর্যন্ত আসন সংরক্ষণ ও ইনারলাইন পারমিট চালু করা।
তিনটি প্রসঙ্গই সংবেদনশীল ও কেন্দ্রের পক্ষে অস্বস্তিকর। কারণ অসমে ১৯৫১ সালের পরে আসা জনসংখ্যা বিপুল এবং সিএএর মাধ্যমে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অসমে আসা হিন্দু বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। আবার ১৯৫১ সালকে অসমিয়া চিহ্নিতকরণের ভিত্তিবর্ষ করলে, ১৯৭১ সালের ভিত্তিতে করা এনআরসি-র কোনও প্রাসঙ্গিকতা থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালই আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটির হাত থেকে রিপোর্ট গ্রহণ করবেন। কিন্তু তারপরের পদক্ষেপ নিয়ে কার্যত দ্বিধায় কেন্দ্র-রাজ্য।
আরও পড়ুন: কেজরীর ‘আনন্দ পাঠে’ কি সঙ্গী ইভাঙ্কাও?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy