শিক্ষা মহলের একাংশের মতে, এই পরিকল্পনা কেন্দ্রের ‘এক দেশ এক পরীক্ষা’ নীতির বাস্তবায়নের অঙ্গ। ফাইল ছবি
দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা (সিইউইটি) চলতি বছর থেকে চালু হয়েছে। ভবিষ্যতে সর্বভারতীয় স্তরে ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকাও এই পরীক্ষার মাধ্যমেই হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার জানান, আগামী বছর থেকে সিইউইটি-র মাধ্যমেই ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের ভর্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এই নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। শিক্ষা মহলের একাংশের মতে, এই পরিকল্পনা কেন্দ্রের ‘এক দেশ এক পরীক্ষা’ নীতির বাস্তবায়নের অঙ্গ।
বর্তমানে ডাক্তারি পড়ার জন্য নিট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য সর্বভারতীয় পরীক্ষা ‘জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন)’ দিতে হয়। কিন্তু ইউজিসি-র পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেই পরীক্ষাগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। তার বদলে সিইউইটি একমাত্র পরীক্ষা হবে। ইউজিসি-র চেয়ারম্যানের যুক্তি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং জীববিজ্ঞানের পরীক্ষা তিন বার না-দিয়ে পড়ুয়ারা শুধু সিইউইটি দেবেন। সেই পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে সাধারণ ডিগ্রি কলেজ, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। তবে অনেকে এও বলছেন, সিইউইটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ-সহ কিছু রাজ্য এই পরীক্ষার বিরোধিতা ইতিমধ্যেই করেছে। তাই নিট এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) তুলে দিলে সমস্যা বাড়তে পারে।
শিক্ষা মহলের একাংশের মতে, সাধারণ ডিগ্রি কোর্সে পড়ার জন্য পরীক্ষায় যে প্রশ্ন পড়ুয়াদের করা হয়, নিট অথবা জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) পরীক্ষার প্রশ্ন তার থেকে অনেক আলাদা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের মতে, ‘‘একটি পরীক্ষার মাধ্যমে তিনটি বিভাগে ভর্তির সিদ্ধান্ত কখনই বাঞ্ছনীয় নয়। এতে পড়ুয়াদের মেধা যথাযথভাবে যাচাই হওয়া সম্ভব নয়।’’ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারিং হল পেশাদার পাঠ্যক্রম। এই পাঠ্যক্রম পড়ুয়া কতটা পড়তে সমর্থ তা দেখার জন্য যেসব পরীক্ষা নেওয়া হয় তাতে ওই পড়ুয়ার অ্যানালিটিক্যাল এবিলিটি, সেন্স অফ রিজনিং কতটা রয়েছে দেখা হয়।’’
রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ম্যাকাউট) উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, ‘‘এ ভাবে ভর্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা আছে। সাধারণ ডিগ্রি কোর্স পড়তে যাওয়া এবং ডাক্তারি কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যাওয়া পড়ুয়াদের এক পরীক্ষা দিয়ে বিচার করা যায় না। তাহলে তো দ্বাদশ শ্রেণির ফল দেখেই ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি নিয়ে নেওয়া যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy