গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু গুজরাতের দুই যুবকের। ছবি: সংগৃহীত।
গাড়ির ভিতরে তারস্বরে গান চলছিল। নিজেদের মধ্যে ঠাট্টা-তামাশাও চলছিল সমানতালে। আর সেই দৃশ্য লাইভ স্ট্রিমিংয়ে বন্দি করছিলেন এক যুবক। তাঁদের মধ্যেই এক জন বলে উঠলেন, ‘আরও জোরে গান চালা’। আবার আরও এক জনকে বলতে শোনা গেল, ‘আরও জোরে চালা’! সেই সময় ক্যামেরাটা গাড়ির স্পিডোমিটারের দিকেও ঘোরানো হল। তখন স্পিডোমিটারের কাঁটায় দেখাচ্ছে ১৪০।
রাতের অন্ধকার চিরে ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে একের পর এক গাড়িকে কাটিয়ে ঝড়ের গতিতে ছুটছিল সেই গাড়িটি। আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ের দিকে যাচ্ছিল। রাত ১২টা নাগাদ পাঁচ বন্ধু মিলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। সেই সফর ইনস্টাগ্রামে লাইভ করা হবে বলেও ঠিক করেন তাঁরা। গাড়ি চলতেই লাইভ স্ট্রিমিং করাও শুরু হয়। গাড়ির ভিতরে তারস্বরে গান চালানো শুরু হয়। গাড়িতেই চলতে থাকে পার্টি। জাতীয় সড়কে উঠতেই গতি বাড়তে শুরু করে গাড়ির।
কিন্তু সেই গতিতে যেন খুব একটা খুশি হচ্ছিলেন না কেউই। যে যুবক গাড়ি চালাচ্ছিলেন, বন্ধুরা তাঁকে গাড়ির গতি আরও বৃদ্ধি করতে বলেন। সেই কথা শুনে গাড়ির গতিও বাড়তে শুরু করে। কিছু ক্ষণ পরই একটা জোরালো আওয়াজ। তার পর দেখা যায় গাছে ধাক্কা মেরে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় চিরাগ পটেল এবং আমন শেখ নামে দুই যুবকের মৃত্যু হয়। সঙ্কটজনক আরও তিন জন।
গুজরাতের আনন্দের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। পুলিশ ইতিমধ্যেই গাড়ির চালক মুস্তাফার বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়িটি জাতীয় সড়ক ধরে ছুটছিল। একটি লরিকে পাশ কাটিয়ে বেরোতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy