ফাঁসির আগের দিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বাড়িতে ফোন করেছিলেন কেরলের মুরলীধরন পেরামতত্ত ভেলাপ্পিল। কথা বলেছিলেন তাঁর বাবা কেশবনের সঙ্গে। ফাঁসির আগের দিন পর্যন্ত মুরলীধরন এবং তাঁর পরিবার চেষ্টা করে গিয়েছিলেন, যাতে মৃত্যুদণ্ড আটকানো যায়। ভারতে এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যেখানে যেখানে যোগাযোগ সম্ভব, সব করেছেন। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড ঠেকানো যায়নি। এক খুনের মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আবু ধাবিতে ফাঁসি হয় তাঁর। ওই একই দিনে অন্য দুই পৃথক মামলায় আবু ধাবিতে ফাঁসি হয়েছে কেরলের মুহাম্মদ রিনাশ অরঙ্গিলোত্তু এবং উত্তরপ্রদেশের শাহজ়াদি খানেরও।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আবু ধাবি থেকে ছেলের ফোন পাওয়ার পর কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেশবন। তিনি বলেন, “আমরা অসহায় হয়ে গিয়েছিলান। ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সম্ভাব্য সব জায়গায় যোগাযোগ করেছিলাম, যাতে ফাঁসিটা কোনও ভাবে আটকানো যায়। ফাঁসির আগে পর্যন্ত ছেলে আশা করে ছিল, হয়তো মৃত্যুর হাত থেকে ওকে বাঁচাতে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে।” ছেলের শেষকৃত্যের জন্য এখন আর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যেতে চান না তিনি। কেশবন চাইছেন, তাঁর ছেলের দেহ এ দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। ফাঁসির আগের দিন কেরলের বাড়িতে ফোন করেছিলেন রিনাশও। মাকে ফোন করে কাঁদছিলেন তিনি। রিনাশের মা-ও অসহায় হয়ে পড়েছিলেন ছেলের কান্নার সামনে।
আরও পড়ুন:
বিদেশ মন্ত্রক সম্প্রতি জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এক নাগরিককে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন রিনাশ। মুরলীধরন দোষী সাব্যস্ত হন এক ভারতীয়কেই খুনের মামলায়। উভয়েরই মৃত্যুদণ্ড হয় সে দেশের আদালতে। পরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শীর্ষ আদালতও সর্বোচ্চ সাজাই বহাল রাখে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রশাসন ভারতীয় দূতাবাসকে জানায়, দু’জনেরই ফাঁসি হয়ে গিয়েছে।