সাত দিয়ে শুরু করেছিলেন। সেই সংখ্যাটি বেড়ে এখন ২০০ হয়েছে। গত ছ’বছর ধরে প্রতি রাতেই এই ২০০ জন দুঃস্থের অন্নসংস্থান করে চলেছেন তাঁরা। এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়ে অনেকে আবার সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
উদ্যোক্তা বিহারের ছপরার সরকারি স্কুলের দুই শিক্ষক রবিশঙ্কর উপাধ্যায় এবং সত্যন্দ্র কুমার। পরবর্তী কালে তাঁদের কয়েক জন বন্ধু রাকেশ রঞ্জন, রামজন্ম মাঝিঁ, পিন্টু গুপ্ত এবং আনন্দ মিশ্র এই কাজে এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের এই উদ্যোগের নাম দিয়েছেন ‘ছপরা রুটি ব্যাঙ্ক’। দুঃস্থদের পেট ভরাতে দুই শিক্ষক যে ভাবে এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের সেই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই।
কী ভাবে এই উদ্যোগের সূচনা, এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন রবিশঙ্কর। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের অনুপ্রেরণা বারাণসীর কিশোরকান্ত তিওয়ারি। তিনিও দুঃস্থদের অন্ন সংস্থানের কাজে জড়িত। তাঁর সেই উদ্যোগকে অনুসরণ করেই পথ চলা শুরু। বন্ধু সত্যেন্দ্রকে বিষয়টি বলাতে সে-ও রাজি হয়ে যায়। আর তার পরই এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করি।’’
২০১৮ সাল থেকে এই উদ্যোগের সূচনা। রবিশঙ্কর জানান, প্রথমে সাত জনকে দিয়ে এই উদ্যোগ শুরু করেছিলেন, তার পর ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বেড়েছে। অনেকেই তাঁদের উদ্যোগের কথা জানতে পেরে এগিয়ে এসেছেন। সত্যেন্দ্র বলেন, ‘‘প্রথমে আমার বাড়িতে রান্না হত। রুটি আর তরকারি বানিয়ে দুঃস্থদের সেই খাবার বিতরণ শুরু করি। বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে যত জন দুঃস্থ ছিল, তাঁদের খাবার দিতাম। প্রথম দিকে সাত জনকে খাবার দিতাম। এখন আমরা ২০০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করি।’’