স্কুল থেকে বোনের সঙ্গে বাড়িতে ফিরেছিল এক কিশোরী। তাদের পিছু নিয়েছিলেন দুই মত্ত ব্যক্তি। কিশোরীর কাছে খাবার চান তাঁরা। সেই অছিলায় কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে পড়েন ওই দুই মত্ত। বাড়িতে কিশোরীর মা-বাবা কেউ যে নেই, এটা নিশ্চিত হতেই ঘরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ, তার পর দু’জনে মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
এই পরিস্থিতি দেখে কিশোরীর বোন চিৎকার শুরু করে দেয়। তার পর কোনও রকমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানায়। খবর পেয়েই প্রতিবেশীরা পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলেন। তার পর হাতেনাতে দুই মত্তকে ধরে ফেলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আগরার।
আগরার অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আদিত্য জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এক প্রতিবেশীর দাবি, হঠাৎই পাশের বাড়ির মেয়েটির চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন। সেই চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসতেই দেখা যায় মেয়েটি কাঁদছে আর বলছে, তাঁদের ঘরে জোর করে দু’জন ঢুকে পড়েছে। তত ক্ষণে আরও অনেকেই জড়ো হয়ে বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। তার পর ঘর থেকে টেনে বার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতে কিশোরীর বাবা-মা ছিলেন না। তাঁরা দিনমজুরের কাজ করেন। কর্মস্থলে ছিলেন। দুই বোন স্কুল থেকে ফিরছিল, সেই সময় তাদের অনুসরণ করে বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়েন দুই অভিযুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।