প্রকাশ্য রাস্তায় থানা থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরত্বে সরকারি বাসের মধ্যে মহিলাকে ধর্ষণ করে পালিয়েছেন অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজে ১৩টি বিশেষ দল গঠন করেছে পুণে পুলিশের অপরাধদমন শাখা। ওই ঘটনার পর মাস্কে মুখ ঢেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি। পুণে পুলিশ অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করেছে। তাঁর খোঁজ দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুণেতে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়তে শুরু করেছে।
পুণে শহরের অন্যতম ব্যস্ত বাসস্ট্যান্ড স্বারগেট। মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে ওই বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসের ভিতর মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ মিটার দূরত্বেই থানা। এই ঘটনার সঙ্গে ২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের তুলনা করে প্রশাসনের ব্যর্থতাকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। বুধবার দিনভর পুণের বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) একযোগে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে আক্রমণ করেছে। বাসস্ট্যান্ডে ভাঙচুরও চালানো হয়।
আরও পড়ুন:
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার বুধবারই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। পুণের পুলিশ কমিশনারকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তিনি একাধিক বার জেল খেটেছেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। তার পর আবার ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়াল ওই যুবকের। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মুখে মাস্ক পরে বাস থেকে নামছেন তিনি। পরিচয় গোপনের উদ্দেশ্যেই মাস্ক পরেছিলেন।
২৬ বছরের নির্যাতিতা পেশায় পরিচারিকা। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে তিনি সাতারায় যাওয়ার বাস ধরতে পুণের বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছেছিলেন। যুবক তাঁকে একটি অন্ধকার বাস দেখিয়ে জানান, ওই বাস সাতারায় যাবে। তাঁকে ‘বোন’ বলে সম্বোধন করেছিলেন অভিযুক্ত। মহিলা বাসে উঠতেই তিনিও ঢুকে পড়েন এবং বাসের দরজা বন্ধ করে দেন। বাসটিতে তখন আর কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, অন্ধকার বাসের মধ্যে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত বলেছেন, ‘‘পুণের বাসস্ট্যান্ডের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং লজ্জার। অভিযুক্ত যে অপরাধ করেছেন, তার কোনও ক্ষমা হয় না। মৃত্যুদণ্ড ছাড়া এর আর কোনও শাস্তি নেই। আমি পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি দেখতে বলেছি এবং দ্রুত গ্রেফতার করতে বলেছি।’’