বামেরা ১৩টি আসন বরাদ্দ করলেও শনিবার ত্রিপুরায় ১৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। এর মধ্যে বামেদের ছাড়া ১২টি আসন রয়েছে। বামেরা ছাড়লেও এখনও উত্তর ত্রিপুরার পেঁচারথাল বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। অন্য দিকে, বাম প্রার্থী রয়েছে এমন ৫টিতে লড়ছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় বিজেপিবিরোধী জোটের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে ভোট গবেষকদের একাংশের মত।
যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহ শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘দু’টি পক্ষে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা হতেই পারে। আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে সেই জটিলতা কেটে যাবে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে।’’
আরও পড়ুন:
কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী বিদায়ী বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন (আগরতলা), প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ (কৈলাশহর) এবং প্রাক্তন বিজেপি দুই বিধায়ক, আশিস সাহা (টাউন বড়দোয়ালি) এবং দিবাচন্দ্র রাঙ্খল (করমাচরা)।
প্রসঙ্গত, আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার আগেই বুধবার একতরফা ভাবে কংগ্রেসের জন্য ১৩টি আসন ছেড়ে রেখে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএম নেতা নারায়ণ কর। বাম নেতৃত্বের এই পদক্ষেপে ভোটের আগেই বিজেপি বিরোধী লড়াই কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের মত। পাশাপাশি, একতরফা প্রার্থী ঘোষণার ফলে জনজাতি দল তিপ্রা মথার সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনাতেও কার্যত ইতি টেনে দেয় সিপিএম।
আরও পড়ুন:
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ত্রিপুরার দু’টি কেন্দ্রেই জিতেছিল বিজেপি। পেয়েছিল ৪৯ শতাংশ ভোট। ২৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে দু’টি আসনে দ্বিতীয় হয়েছিল কংগ্রেস। ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল বামেরা। রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫১টিতে প্রথম স্থানে ছিল বিজেপি। ৯টিতে কংগ্রেস। ২০১৮ পর্যন্ত ত্রিপুরায় ক্ষমতায় থাকা বামেরা ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের হিসাবে রাজ্যের একটি বিধানসভা আসনেও এগিয়ে নেই।