গত কয়েক বছরে আবার পঞ্জাবে জাল ছড়িয়েছে খলিস্তানপন্থী সংগঠনগুলি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)-র সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। পঞ্জাব পুলিশের সহায়তায় তৈরি ওই রিপোর্ট আইবির ই-বুকে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে খলিস্তানপন্থী সংগঠনগুলির যোগাযোগ বেড়েছে। এমনকি, সাংবাদিকদের একাংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে ওই সংগঠনগুলির নেতাদের।
পঞ্জাব পুলিশের এসএসপি গুলনিত সিংহ খুরানা ওই রিপোর্টে লিখেছেন, খলিস্তানপন্থী নেতাদের একাংশ বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা এবং সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ রাখেন। তাঁদের সাক্ষাৎকার দেন। ওই খলিস্তানি নেতারা নিজেদের মতাদর্শ প্রচার করতে সংবাদমাধ্যমের একাংশের সহযোগিতা পান বলেও রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন খলিস্তান টাইগার ফোর্সের নাম বিশেষ ভাবে উল্লিখিত হয়েছে রিপোর্টে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত বছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কৃষিবিল বিরোধী আন্দোলনকে হাতিয়ার করে কানাডা-কেন্দ্রিক খলিস্তানপন্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) পঞ্জাবে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বরে পঞ্জাবের তরণতারণের থানায় রকেট হামলার দায়েও নিয়েছিল এসএফজে।
আরও পড়ুন:
২০১৯ সালের ১০ জুলাই এসএফজে-কে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ইউএপিএ আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কৃষিবিল বিরোধী আন্দোলনে মদত দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে খলিস্তানপন্থী সংগঠনটির বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সংগঠনটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আইএসআই এজেন্টদের ছড়াছড়ি। ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে আর্থিক মদত জোগায় এই নিষিদ্ধ সংগঠন। এমনকি সমাজমাধ্যমে ভারত-বিরোধী পোস্ট দিতে পারলে বিদেশের কোনও দেশে নাগরিকত্ব জোগাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিখ তরুণদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে তারা।