চোখের নীচে গেঁথে ছিল প্লাস্টিকের ব্রাশ। প্রতীকী ছবি।
ছোট্ট মেয়ের দাঁত মাজিয়ে দিচ্ছিলেন মা। তা করতে গিয়েই সকাল সকাল সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটে গেল কর্নাটকের গ্রামে। মেয়ের ব্রাশটি সটান ঢুকে গেল মায়ের চোখের নীচে।
কর্নাটকের হাভেরি জেলার হিরুর গ্রামের ঘটনা। সেখানকার বাসিন্দা বিনোদা তলোয়ার গত ১৪ অগস্ট সকালে তাঁর চার বছরের মেয়ের দাঁত মাজিয়ে দিচ্ছিলেন। হঠাৎ বাচ্চাটি খেলার ছলে ব্রাশ ঠেলে দেয় মায়ের মুখের দিকে। বিনোদার বাঁ চোখের নীচের অংশে চামড়া ফুঁড়ে সেই ব্রাশ ঢুকে যায়।
বাড়িময় শুরু হয় হুলস্থূল কাণ্ড। পরিবারের বাকিরা ওই ব্রাশটি বার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়। ব্রাশটি ভেঙে গিয়ে অর্ধেক অংশ ঢুকে থাকে চোখের নীচেই।
তড়িঘড়ি মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাভেরি থেকে কর্নাটক ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে পাঠানো হয় তাঁকে। সিটি স্ক্যান, সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাম-সহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তিন দিন ধরে ব্রাশের টুকরোটি একই ভাবে মহিলার মুখে ঢুকে ছিল। জটিল অস্ত্রোপচার করে সেটি বার করেছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ব্রাশের টুকরোটি সাত সেন্টিমিটার লম্বা ছিল। যদি অস্ত্রোপচারের সময় একটুও এ দিক-ও দিক হত, ওই মহিলার বাঁ চোখটি নষ্ট হয়ে যেতে পারত।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্লাস্টিকের এই ব্রাশের টুকরোটির জন্য মহিলার চোখের নীচে সাত থেকে আট সেন্টিমিটার ক্ষত হয়েছে। অস্ত্রোপচারটি অত্যন্ত জটিল ছিল। তবে অস্ত্রোপচারের পর ওই মহিলা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।
কর্নাটক ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের যে চিকিৎসক দলটি এই অস্ত্রোপচার করেছে, মাস দুয়েক আগে তারাই এমন আরও একটি অস্ত্রোপচার করেছিল। এক ব্যক্তির মুখে ঢুকে যাওয়া ছুরি বার করে এনেছিলেন এই চিকিৎসকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy