এক দিকে নরেন্দ্র মোদী, অন্য দিকে রাহুল গাঁধী। একই দিনে আন্দোলন শুরু করছেন দুই নেতা। প্রথম জনের তুরুপের তাস উন্নয়ন। আর দ্বিতীয় জন চান প্রতিশ্রুতি পালনে সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরতে।
দিনের সমাপতনের পিছনে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও হাত নেই। আমেরিকা সফরে যাওয়ার আগে পরশু তিনি, জনসঙ্ঘ নেতা দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে তাঁর নামে এক নতুন প্রকল্প ঘোষণা করবেন। ‘গ্রামীণ কৌশল্য যোজনা’। যার লক্ষ্য, দেশের যুবকদের কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে তোলা। এবং সেই লক্ষ্য পূরণেই ২৫ তারিখ থেকে জন-আন্দোলন শুরু করতে চান মোদী। সেই দিনই রাহুলের নেতৃত্বে যুব কংগ্রেস রাজধানীতে মোদী-বিরোধী আন্দোলনে নামছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আক্রোশ র্যালি’।
রাহুল-ব্রিগেডের মতে, সরকারে আসার প্রথম একশো দিনে মোদী তাঁর প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই অসন্তোষেরই প্রতিফলন ঘটেছে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে। এতে কিছুটা জোর পেয়েছে কংগ্রেস। নিজেদের সরকার থাকার সময় প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া হজম করতে হয়েছে রাহুলকে। এখন তিনি প্রতিষ্ঠান-বিরোধী রাজনীতি করতেই পারেন অনায়াসে। আর সেই পথেই দলকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চান রাহুল। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার যন্তর-মন্তরে ‘আক্রোশ’ সমাবেশের আয়োজন করেছে যুব কংগ্রেস।
মোদী জানিয়েছেন, মনমোহন সরকারের আমলে অর্থনীতির যে বেহাল দশা হয়েছে, তা পাল্টে দেওয়াই তাঁর চ্যালেঞ্জ। আগামী ৫ বছরে উৎপাদন শিল্পকে ফের চাঙ্গা করতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভারতে শিল্প গড়তে আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন বিশ্বমানের প্রশিক্ষিত যুবক। ২৫ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে যে ‘গ্রামীণ কৌশল্য যোজনা’, তার লক্ষ্যই হল দেশের যুবকদের নতুন শিল্পের জন্য উপযুক্ত করে তোলা।
দীনদয়ালের জন্মদিনে তাঁর নামে প্রকল্প চালু করে সঙ্ঘের মনও জিততে চাইছেন মোদী। অটলবিহারী বাজপেয়ীও দীনদয়ালকে এ ভাবে স্মরণ করেননি। মোদী নানা প্রশ্নে নিজের পথে চলার পাশাপাশি সঙ্ঘের মন রাখার কাজটিও করে যাচ্ছেন সুকৌশলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy