হিমন্তবিশ্ব শর্মা
ত্রিপুরার ৪৭ হাজার পাতার ভোটার তালিকার পাতা-ওয়াড়ি ভোটারদের দায়িত্ব ভাগ করা হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। আজ আগরতলায় দলের এই রণকৌশলের কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার আগামী ভোটের বিশেষ দায়িত্বে থাকা অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
দু’দিনের ত্রিপুরা সফরে এসেছেন হিমন্ত। গত কাল দলের কোর কমিটির বৈঠক করেন। আজও দলের কর্মী ও নেতাদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সিপিএমের ভুয়ো ভোট রুখতে ভোটার তালিকার এক এক পাতার দায়িত্ব এক এক জন কর্মীকে দেওয়া হবে। তাঁরাই প্রতিটি পাতা খুঁটিয়ে দেখবেন, কোন ভোটারের মৃত্যু হয়েছে। দেখবেন, বিবাহ সূত্রে কে অন্যত্র চলে গিয়েছেন, কর্মসূত্রেই বা কারা বাইরে রয়েছেন।’’ ভোটের দিন এই ‘ভুয়ো ভোট’ বন্ধ করাটাই তাঁদের লক্ষ্য বলে তিনি জানান।
রাজ্যের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, সিপিএমের অস্ত্রেই সিপিএমকে বধের চিন্তা করছে বিজেপি। তবে সিপিএম যে কাজটা দুই ভোটের মাঝের পাঁচ বছর ধরে করে, সেই কাজটা বিজেপি দু’-তিন মাসে করতে পারবে কিনা তা নিয়ে তাঁদের সংশয় রয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমান আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রাজ্য বিধানসভার ভোট। এই পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, রাজ্যের ভোটার তালিকা ৪৭ হাজার পাতার। তিন হাজার বুথ। গড়ে এখনকার সচিত্র ভোটার তালিকায় পাতার এক দিকে ৩০ জন ভোটারের নাম থাকে। পাতার দু’দিক ধরলে ৬০ থেকে ৭০ জন ভোটারের নাম। এই মহলের প্রশ্ন, পাতা-ওয়াড়ি নজরদারি করতে ৪৭ হাজার সক্রিয় কর্মী বিজেপি জোগাড় করতে পারবে তো?
হিমন্ত জানান, তাঁরা ইতিমধ্যেই বিধানসভা কেন্দ্র ও বুথওয়াড়ি ফলাফল যাচাই করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু আসনে সিপিএম একশোরও কম ভোটে জিতেছিল। তাঁর দাবি, ভোটার তালিকা খতিয়ে তাঁরা দেখেছেন, এই সব আসনে ভুয়ো ভোটারদের সহায়তায় সিপিএম জিতেছে। হিমন্তের দাবি, আগামী ভোটে বিজেপি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy