পুঞ্চি কমিশনের সুপারিশগুলি বিরোধীদের শাসনে থাকা রাজ্যগুলির কাছে খুবই প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছে তৃণমূল। প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হওয়া পুঞ্চি কমিশনের প্রস্তাবগুলিকে হিমঘরে পাঠাতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংক্রান্ত সংসদীয় প্রশ্নোত্তরের খবর সামনে আসার পরেই নড়ে বসেছে নবান্ন। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে গতকালই রাজ্য প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে জানানো হয়েছে, পুঞ্চি কমিশনের রাজ্যপাল সংক্রান্ত সুপারিশে সহমত জানিয়ে বহু আগেই রাজ্য সরকার রিপোর্ট পাঠিয়েছে আন্তঃরাজ্য পরিষদের কাছে। এছাড়া, সংবিধানের ৩৫৫ ও ৩৫৬ ধারা এবং রাজ্যে যখন-তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার যে সুপারিশ কমিশন করেছিল, সে বিষয়েও রাজ্য সম্মতি দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস-এর সঙ্গে যখন সরাসরি সংঘাতে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, তখন পুঞ্চি কমিশনের প্রস্তাবগুলি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ কমিশন করেছিল। তা হল, রাজ্যপালেরা কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হতে পারবেন না। এমনকি, রাজ্যপালকে বরখাস্ত করার প্রস্তাবও বিধানসভায় আনা যেতে পারে। যেভাবে সংসদে রাষ্ট্রপতি, উচ্চ-সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রস্তাব আনা যায়।
সব মিলিয়ে পুঞ্চি কমিশনের সুপারিশগুলি বিরোধীদের শাসনে থাকা রাজ্যগুলির কাছে খুবই প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছে তৃণমূল। সুপারিশগুলি গ্রহণের মিলিত দাবিতেও তারা পদক্ষেপ করতে পারে বলে খবর।
এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘শুধু পুঞ্চি কমিশন কেন, কেন্দ্রীয় সরকার তো সংবিধানই মেনে চলছে না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সংবিধান স্বীকৃত নীতি মেনে চলা উচিত রাজ্যপালের। রায়পুরে কংগ্রেসের মহাধিবেশনে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে, রাজ্যপাল যদি সংবিধান মেনে না চলেন, মানুষের কাছে তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy