লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
মন্ত্রকে ঘরের সামনে ধর্না দিয়েও বুধবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের দেখা পাননি তৃণমূলের পঁচিশ সাংসদ। আজ, বৃহস্পতিবার লোকসভার ট্রেজারি বেঞ্চে তাঁকে দেখে নিজের আসন ছেড়ে উঠে তাঁর সামনে গিয়ে রাজ্যের বকেয়া টাকা ছাড়ার বিষয়ে সরব হলেন লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরে অবশ্য তিনি জানান, “মন্ত্রীর মনোভাব এবং বক্তব্য খুব একটা সদর্থক বলে মনে হল না। তিনি (গিরিরাজ) বেশ কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু আমি তাঁকে বারবার বলেছি, গতকালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পনেরো দিনের মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী এবং সচিবকে ডেকে, সাংসদদের রেখে আপনি বৈঠক ডাকুন। মীমাংসা করুন। কেন বাংলার মানুষকে নিরন্ন রাখছেন?”
গতকাল মন্ত্রকের সচিব শৈলেশ কুমারের সঙ্গে চল্লিশ মিনিটের বৈঠক শেষে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি ছিল, দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রকের কর্তা এবং দলের সাংসদেরাও। সূত্রের খবর, বৈঠকের ভিতরেই অভিষেক কেন্দ্রীয় সচিবকে ‘কড়া ভাবে’ বলেছেন, যদি পনেরো দিনের মধ্যে রাজ্যের টাকা ছাড়া না হয়, তাহলে বঞ্চিত পরিবার থেকে দু’লক্ষ মানুষকে সংগঠিত করে নিয়ে এসে দিল্লির রাস্তায় প্রতিবাদ জানানো হবে।
এ দিন সুদীপ জানান, “আমাকে মন্ত্রী বলেন, টাকা ছাড়তে পারছেন না। কারণ, অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেগুলির তদন্ত হচ্ছে। আমি তাঁকে স্পষ্ট বলি যে, কিছু অভিযোগের জন্য এত মানুষকে কেন নিরন্ন রাখবেন?’’ সুদীপের দাবি, মন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল যে পদ্ধতিতে আলোচনা হয়েছে, তা ঠিক নয়। গতকাল তিনি ছিলেন না। কিন্তু আজ আলোচনা হতেই পারত। তৃণমূলের লোকসভা নেতার কথায়, ‘‘তখন তাঁকে বলি, সে কথা মন্ত্রকে বারবার জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও আমাদের জানায়নি। আর আমরা তো ওঁর সচিবের সঙ্গেই কথা বলেছি। তা হলে বেনিয়মটা হল কোথায়?” সুদীপের বক্তব্য, তিনি কাল বিহারে ছিলেন বলায় মন্ত্রীর উত্তর, বিহার-দিল্লি যাতায়াতে আর কত সময় লাগে! সুদীপ যখন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল প্রমুখ। সুদীপের অভিযোগ, বাংলার বিজেপি সাংসদ-বিধায়কেরা এসে কেন্দ্রকে টাকা না-ছাড়ার জন্য এত চাপ দিচ্ছে যে, সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy