পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যাচ্ছিলেন ৩৬ জন তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু, ৭ নম্বর রেসকোর্স রোডের আগেই দিল্লি পুলিশ তাঁদের আটক করে তুঘলক রোড থানায় নিয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের সাংসদদের চূড়ান্ত হেনস্থা করেছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: রাজ্যকে না জানিয়ে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী? রাজ্যপালের কাছে তীব্র উষ্মা মন্ত্রীদের
বুধবার দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ সংসদে নিজেদের দলীয় কার্যলায়ে উপস্থিত হন তৃণমূলের সাংসদেরা। তার পরে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন। সেই মতো তাঁরা গাড়ি নিয়ে ৭ নম্বর রেস কোর্সের উদ্দেশে রওনা দেন। ওই দলে মুকুল রায়, শতাব্দী রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু অধিকারি, ইদ্রিস আলি, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, সুখেন্দুশেখর রায়, দীনেশ ত্রিবেদীরা ছিলেন। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের আগেই তাঁদের আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। এর পর গাড়ি থেকে নেমে তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হেঁটে এগনোর চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ তাঁদের আটকায়। সেই সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। হাতাহাতি হতেও দেখা যায়। সাংসদেরা তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন।
এর পরেই তৃণমূল সাংসদদের আটক করে তুঘলক রোড থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘পুলিশের মারে আমাদের দুই সাংসদ কল্যাণ এবং প্রসূন আহত হয়েছেন।’’ ডেরেক বলেন, ‘‘আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।’’ তৃণমূল সাংসদদের অভিযোগ, মহিলা সাংসদদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে মোদী সরকারের পদত্যাগও দাবি করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের মিছিলে, অবরোধে বেহাল ছবি কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy