Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
National News

অশান্ত যোগী-রাজ্যে কাল দল পাঠাচ্ছেন মমতা

তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।

রবিরার তৃণমূলের প্রতিনিধিদল যাবে লখনউ।

রবিরার তৃণমূলের প্রতিনিধিদল যাবে লখনউ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৪৯
Share: Save:

এক দিন আগেই বিক্ষোভ প্রশমনে যোগী আদিত্যনাথের গুলিচালনার নিদানের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। এ বার সে রাজ্যে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়উত্তরপ্রদেশে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে নিহতদের পরিজনের সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল। আগামিকাল, রবিরারই ওই প্রতিনিধিদল পৌঁছবে লখনউ। শনিবার তৃণমূলের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

চার সদস্যের ওই দলে থাকবেন লোকসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, রাজ্যসভার সাংসদ মহম্মদ নাদিমূল হক এবং আবির বিশ্বাস। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি আহতদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। এ দিন ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘‘মানবিকতার মিশনে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে যাচ্ছেন আমাদের প্রতিনিধিদল। যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে প্রতিনিধিদল। তা ছাড়াও, ওই ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।’’

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে গত কয়েক দিন ধরেই অশান্ত যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য। বৃহস্পতিবার থেকে সেই বিক্ষোভ ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ, গুলিচালনা ছাড়াও পাল্টা হিসাবে পুলিশের গাড়িতে আগুন, পাথর ছোড়া— বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। নিহত হন এক নাবালক-সহ ১১ জন। এই ঘটনার পর গভীর রাত থেকেই লখনউ, বিজনৌর, মেরঠ, ফিরোজাবাদ, কানপুর, সম্বল, মোরাদাবাদ, আলিগড়, বরেলী, প্রয়াগরাজ (ইলাহাবাদ)-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে এ দিন বৈঠকে বসবেন যোগী আদিত্যনাথ।

আরও পড়ুন: আজও বিক্ষোভ উত্তরপ্রদেশে, কালকের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১১

আরও পড়ুন: ‘টেনে দাড়ি ছিঁড়ে নেব, পুলিশ বলল আমাকে’

যোগীর রাজ্যে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির আবহেই সেখানে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব তিনি। এর বিরুদ্ধে শহরে লাগাতার দলীয় মিছিলেও শামিল হয়েছেন তিনি। গত কালও পার্ক সার্কাসে দলের বিশিষ্টজনদের নিয়ে সিএএ-বিরোধী সভা করেছেন মমতা। সেই সভা থেকেই যোগীর বিরুদ্ধে সরব হন। দেশ জুড়ে অগ্নিগর্ভ আন্দোলন প্রতিরোধে গুলি চালিয়ে মারার যে নিদান দিয়েছেন, তার কড়া সমালোচনাও করেন তিনি। মমতা বলেছিলেন, ‘‘এটা কোনও সিএম (মুখ্যমন্ত্রী)-এর বক্তব্য হতে পারে! ওঁকে সিএম বলতেও শেম (লজ্জা) লাগে!’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy