কৈলাস বিজয়বর্গীয়। —ফাইল চিত্র।
ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি এখনও। কিন্তু সে রাজ্যে এই নিয়ে দু’দফায় প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করে দিল বিজেপি। সোমবার দ্বিতীয় দফায় মধ্যপ্রদেশে ৩৯জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই তালিকায় রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার তিন সদস্য এবং চার সাংসদ! রয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নামও!
বিজেপি প্রার্থিতালিকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর, প্রহ্লাদ পটেল এবং ফগ্গন সিংহ কুলস্তে ঠাঁই পেয়েছেন। মধ্যপ্রদেশ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তোমরের নাম অতীতে বেশ কয়েক বার ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসাবে উঠে এসেছে। প্রহ্লাদ একদা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতীর অনুগামী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ২০০৪ সালে উমা বিজেপি ছেড়ে ভারতীয় জনশক্তি পার্টি গড়ার সময় প্রহ্লাদও তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন। অন্য দিকে, ২০০৯ সালে লোকসভায় আস্থা-ঘুষ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুলস্তকে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।
বিজেপির প্রার্থিতালিকায় থাকা চার সাংসদ হলেন, রাকেশ সিংহ, গণেশ সিংহ, রীতি পাঠক এবং উদয়প্রতাপ সিংহ। মধ্যপ্রদেশ বিজেপির অন্দরে ‘মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত কৈলাস দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বার ইন্দোর শহর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। কৈলাসের ছেলে আকাশ ওই কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক। এর আগে গত ১৭ অগস্ট মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি।
২০১৮-র বিধানসভা ভোটে জিতে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করলেও দেড় বছরের মাথায় জ্যোতিরাদিত্যের সাহায্যে দু’ডজন বিধায়ক ভাঙিয়ে কমলনাথ-সরকারের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। চলতি বছরের শেষে ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, মিজোরামের সঙ্গেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, সে রাজ্যে এ বার বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গত কয়েক মাসে একের পর এক বিজেপি নেতা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে পড়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সাংসদদের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করা হচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy