প্রতীকী ছবি
মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায় তিন পুলিশকর্মী খুনে অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন আজ পুলিশি সংঘর্ষে প্রাণ হারাল। এই নিয়ে এই ঘটনায় প্রাণ গেল তিন চোরাশিকারির। নিহত চোরাশিকারির নাম ছোটু পাঠান (৩০)। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হরিপুরা গ্রামের নিকটবর্তী জঙ্গলে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে তার।
পুলিশ সূত্রের খবর, ছোটু যে হরিপুরা গ্রামের কাছাকাছি রুঠিয়াইতে ছিল, সে বিষয়ে কাল গভীর রাতে তাদের কাছে খবর আসে। মঙ্গলবার ভোরে তল্লাশি শুরু হয়। দীর্ঘ তল্লাশির পরে হরিপুরা গ্রামের কাছের জঙ্গলে তার দেখা মেলে। পুলিশকে দেখেই একটি দেশি পিস্তল থেকে গুলি ছুড়তে থাকে সে। তার গুলিতে গুরুতর জখম হন কনস্টেবল বিনোদ ধাকড়। গুলি লাগে পুলিশের গাড়িতেও। পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোটুর।
চোরাশিকারিদের হাতে পুলিশকর্মী খুন হওয়ার ঘটনায় এই নিয়ে তিন অভিযুক্তের প্রাণ গেল। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জন এখনও নিখোঁজ। কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের পরিকল্পনা করছে কয়েক জন চোরাশিকারি, গত ১৪ মে এই খবর পেয়ে গুনা জেলার সগাবর খেড়া গ্রামের কাছে পৌঁছয় পুলিশ। সেখানে চোরাশিকারিদের গুলিতে প্রাণ হারান তিন পুলিশকর্মী। উদ্ধার হয় কয়েকটি হরিণের মাথা ও দেহাংশ। পার্শ্ববর্তী বিদোরিয়া গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে নৌসাদ মেবাতী ওরফে নৌসাদ খান নামের এক দুষ্কৃতীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিদোরিয়া থেকেই গ্রেফতার করা হয় নিসার খান (৭০) ও তার ছেলে শাহরাজ খানকে। তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি সার্ভিস রাইফেল। পরে শফাক খান ও মহম্মদ জিয়া খান নামে আরও দু’জনকে ধরে পুলিশ। ওই দিনই শাহজ়াদ খান নামের অপর এক চোরাশিকারি পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে প্রাণ হারায়। অভিযুক্তদের তালিকার গুল্লু খান ও দিলশাদ খান নামের দু’জন এখনও ফেরার। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা প্রত্যেকে একই পরিবারের লোক। তারা দাবি করেছে, বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় মাংসের জন্য হরিণ শিকারের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
চোরাশিকারিদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভি ডি শর্মা। আজ সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে কংগ্রেস জানাল, বিজেপি মন্ত্রী মহেন্দ্র সিংহ সিসৌদিয়ার সঙ্গে অভিযুক্তদের সম্পর্ক রয়েছে। বিজেপির গুনা জেলার সহ-সভাপতি হিরেন্দ্র সিংহ বান্টির সঙ্গে অভিযুক্তদের একাধিক ছবিও প্রকাশ করা হয় কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেসের বক্তব্য, যে ভাবে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের নামে হত্যা করা হচ্ছে ও বিরোধীদের জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তাতে ধারণা করাই যায় চোরাশিকারের মূল কান্ডারি আদতে কারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy