কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। —ফাইল চিত্র।
প্রায় তিন হাজার উপভোক্তার মৃত্যুর পরেও তাঁদের চিকিৎসা খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য যোজনা আয়ুষ্মান ভারতের টাকা মঞ্জুর হয়েছে বলে তদন্তে জানিয়েছিল সিএজি। আশঙ্কা করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণে আর্থিক নয়ছয়ের। অভিযোগ উঠেছিল, ওই দুর্নীতিতে বেসরকারির সঙ্গে সরকারি হাসপাতালও জড়িয়ে রয়েছে। সিএজি ওই অভিযোগ তোলার মাসখানেকের মাথায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া বললেন, কোনও দুর্নীতি হয়নি। আয়ুষ্মান ভারত পোর্টালে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যাই এর জন্য দায়ী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, রোগীর মৃত্যুর পরে সেই ব্যক্তির চিকিৎসা খাতে খরচ হওয়া অর্থ ফিরে পেতে হাসপাতালের কিছু সময় লেগে যায়। যার ফলেই সমস্যা দেখা গিয়েছে। মাণ্ডবিয়া আজ বলেন, ‘‘কোনও ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরে কাগজপত্রজনিত কাজকর্ম মিটিয়ে অর্থের আবেদন করতে দু’-তিন দিন সময় লেগে যায়। পরবর্তী ধাপে চূড়ান্ত আবেদনের আরও কিছু দিন পরে টাকা মঞ্জুর হয়। ফলে মৃত্যুর তারিখ ও টাকা মঞ্জুর হওয়ার তারিখের মধ্যে বেশ কিছু দিনের ব্যবধান হয়ে যায়, যা সমস্যা তৈরি করেছে।’’ ওই ব্যবধান কেন, তা ধরতে না পেরে সিএজি একে দুর্নীতি বলে ব্যাখ্যা করেছে। আগামী দিনে ডিজিটাল আয়ুষ্মান ভারত ব্যবস্থায় ওই সমস্যা যাতে দূর করা যায়, তার জন্য নিজেদের প্রযুক্তি আরও উন্নতির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মাণ্ডবিয়ার কথায়, ‘‘সিএজি যে তিন হাজার দুর্নীতির কথা বলছে, তার মধ্যে দু’হাজারটি ঘটনা সরকারি হাসপাতালে। যেখানে কেন্দ্রের অর্থ রাজ্যের মাধ্যমে হাসপাতালে গিয়েছে। ফলে দুর্নীতির সম্ভাবনাই নেই।’’
সিএজি-র অভিযোগ ছিল, একই ব্যক্তির (মূলত সদ্যপ্রসবিনী মহিলাদের) নাম একাধিক হাসপাতালে একই সময়ে চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ও একই মহিলার চিকিৎসার পিছনে সরকারের অর্থ গলে গিয়েছে। ওই অভিযোগ উড়িয়ে আজ মাণ্ডবিয়া বলেন, দুর্নীতির প্রশ্ন নেই। কারণ শিশু জন্মানোর পরে অনেক সময়েই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। মা যে হাসপাতালে শিশুর জন্ম দিয়েছেন, সেখানে যদি সদ্যোজাতের জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকে, তখন শিশুটিকে অন্যত্র পাঠাতে হয়। সদ্যোজাতের ক্ষেত্রে যে হেতু মায়ের আইডি কার্ড দিয়ে শিশুর চিকিৎসা হয়, সে কারণে মায়ের কার্ডের উল্লেখ দু’জায়গায় থেকে যায়। মাণ্ডবিয়ার মতে, বাইরে থেকে দেখে মনে হতে পারে মায়ের কার্ড দু’টি জায়গায় একসঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যদিও বাস্তবে একটিতে মায়ের ও অন্যটিতে তাঁর সন্তানের চিকিৎসা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy