ইনস্যুইংটা একেবারে ‘ডিপ’-এ ঢুকে তৃণমূল কংগ্রেসের উইকেটটা ভেঙে দিল! পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে।
কলকাতায় এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শনিবার পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খান স্পষ্টই বললেন, ‘‘এটা (নারদ-কাণ্ড) প্রমাণ করে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সুশাসন বলে কিছু নেই। কারণ, রাজনৈতিক সুশাসনটা (বা সরকার) যদি একেবারে ঠিকঠাক আর নীতিনিষ্ঠ থাকে, তা হলে তা দুর্নীতির মূলোৎপাটন করবেই।’’
প্রচারের ঢাক-ঢোল যতই পেটানো হোক, রাজনৈতিক সুশাসন না থাকলে যে কখনওই উন্নয়ন সম্ভব নয়, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। ইমরানের কথায়, ‘‘দুর্নীতি সব সময়েই আমজনতার কাঁধের বোঝাটা আরও বাড়িয়ে দেয়। দুর্নীতি গরীবকে আরও গরীব বানিয়ে দেয়। ধনীকে আরও ধনী করে তোলে। দুর্নীতি যে কোনও প্রতিষ্ঠানকে যেমন নষ্ট করে দেয়, তেমনই নষ্ট করে দেয় মেরিট সিস্টেমটাকে। রাজনৈতিক প্রশাসনটা যদি ভাল আর সৎ হয়, তা হলে তা দুর্নীতি নিকেশ করতে পারে। সরকারটা যদি ঠিক থাকে আর যদি দুর্নীতির অবসান ঘটানো যায়, তা হলে উন্নয়ন হবেই। সেই উন্নয়নকে কিছুতেই রোখা যাবে না। তাই কোনও সরকার যদি সত্যি-সত্যিই উন্নয়ন চায়, তা হলে তাকে দুর্নীতি রুখতে হবেই। এটা অত্যন্ত জরুরি।’’
আরও পড়ুন- নিজের ‘সততা’র ভাবমূর্তি বাজি মমতার, উল্টো মত জনসমীক্ষায়
ইমরান কোনও রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, ‘‘সরকারের কাঠামোয় কোনও গলদ থাকলে পুরোপুরি দুর্নীতি দমন করা যায় না। তার জন্য সেই সরকারি কাঠামো বদলের প্রয়োজন। আমাদের চেয়ে সম্পদের পরিমাণ অনেক কম হলেও সুইৎজারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে প্রশাসন অনেক বেশি স্বচ্ছ। তার ফলে ওই দেশগুলিতে উন্নয়নের চাকা থমকে থাকছে না। আর নাইজেরিয়া ও আমার দেশ পাকিস্তানকে আল্লা এত সম্পদ দিয়েছেন, তবু দুর্নীতির জন্যই আমরা এগোতে পারছি না একটুও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy