Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

পাহাড়ি জেলায় পৃথক রাজ্যের দাবি

অসমের দু’টি পাহাড়ি জেলাকে নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি ফের তুলছে ‘হিল স্টেট ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’ (এইচএসডিপি)। দলের নেতারা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে নতুন করে কথাবার্তা বলছেন। বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপানোর প্রস্তুতি চলছে। ওই দলের তরফে কী ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, সে দিকে সতর্ক নজর রয়েছে প্রশাসনের। অসমের দু’টি পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাও ও কার্বি আংলং।

বিপ্লব দেব
হাফলং শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ০৩:১০
Share: Save:

অসমের দু’টি পাহাড়ি জেলাকে নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি ফের তুলছে ‘হিল স্টেট ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’ (এইচএসডিপি)। দলের নেতারা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে নতুন করে কথাবার্তা বলছেন। বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপানোর প্রস্তুতি চলছে। ওই দলের তরফে কী ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, সে দিকে সতর্ক নজর রয়েছে প্রশাসনের। অসমের দু’টি পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাও ও কার্বি আংলং। ১৯৫২ সাল থেকে সেখানে পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ থাকলেও উন্নয়নের দিকে এখনও ওই জায়গা অনেকটাই পিছিয়ে। তারই জেরে দাবি ওঠে, পাহাড়ি জেলাগুলিকে নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠন করা হোক। তৈরি করা হয় স্বশাসিত রাজ্য দাবি কমিটি (এএসডিসি)।

পাশাপাশি, ডিমাসা ও কার্বি জঙ্গিরাও পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দেয়। ডিমাসা জঙ্গিরা চায় ডিমারাজি। কার্বিদের দাবি কার্বিল্যান্ড। এর মধ্যে দুই জঙ্গিদলের শত্রুতা চরমে ওঠে। বিদ্বেষ ছড়়িয়ে পড়ে দু’টি জনগোষ্ঠীর মধ্যে। দুই জেলাকে নিয়ে একটি রাজ্যের দাবি তখনই দুর্বল হয়ে পড়ে। ২০০৭ সালে এএসডিসি-র নাম বদলে করা হয় এইচএসডিপি। কিন্তু দুই জনগোষ্ঠীকে এক করে পৃথক রাজ্যের দাবি আদায়ের আন্দোলন ফের শুরু করা যায়নি।

কিন্তু তা না হলে যে পৃথক রাজ্যের দাবি আদায় করা সম্ভব নয়, সেটা বুঝতে পারছেন এইচএসডিপি নেতারা। সে জন্য আলাদা করে হিল স্টেট ডিমান্ড কমিটি (এইচএসডিসি) তৈরি করা হয়েছে। সংগঠনের আহ্বায়ক কেবারন নাইডিং বলেন, ‘‘ডিমা হাসাও এবং কার্বি আংলঙের পিছিয়ে থাকার কারণ দুর্নীতি, অনিয়ম। বর্তমান পরিকাঠামোয় দুর্নীতির মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। গ্রামগুলির অবস্থা করুণ। রাস্তাঘাট নেই, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থাও নেই।’’ সে জন্যই পৃথক রাজ্যের আন্দোলনকে জোরদার করতে চাইছেন তাঁরা। তবে বন্দুকের সাহায্যে চাপ সৃষ্টির পক্ষে নন কেবারন। তাঁর কথায়, ‘‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই দাবি আদায় করা হবে।’’ সে জন্য কার্বি ছাত্র সংস্থা, ডিমাসা ছাত্র সংস্থা, ডিমাসা মহিলা সংস্থা-সহ অরাজনৈতিক সমস্ত সংগঠনের সঙ্গে তাঁরা নতুন করে কথা বলছেন। সকলকে নিয়ে দ্রুত আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে। এ দিকে, সংগঠনের সদস্যদের তৎপরতায় চিন্তিত পুলিশ-প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই সংগঠনের সদস্যরা কী ভাবে পাহাড়ি জেলার মানুষকে সংগঠিত করছে, নজর রাখা হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy