Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Assam Assembly Elections

অসমে শাসক শিবিরে আসনরফা নিয়ে জট

বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ায় তাদের জনপ্রিয়তা ধাক্কা খেয়েছে। তার উপর, দলের নেতাদের আশঙ্কা এ বারের নির্বাচনে বিজেপি একক গরিষ্ঠতা পেলে অগপকে আমল না-ও দিতে পারে।

অমিত  শাহ এবং জে পি নড্ডার সঙ্গে আসনরফার বিষয়ে বৈঠকে অসমের বিজেপি নেতারা।

অমিত শাহ এবং জে পি নড্ডার সঙ্গে আসনরফার বিষয়ে বৈঠকে অসমের বিজেপি নেতারা। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২১ ০৫:১৯
Share: Save:

বিজেপি বিরোধী মহাজোটে আসন সমঝোতা অনেকটাই চূড়ান্ত। কিন্তু শাসক শিবিরে আসন সমঝোতা নিয়ে চলছে জটিলতা। বিরোধী মহাজোটে ১২৬টির মধ্যে ৮০টির বেশি আসন নিজের হাতে রাখছে কংগ্রেস। এআইইউডিএফ ১৮টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পাশাপাশি ৫টি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নামবে। বিপিএফ প্রধান হাগ্রামা মহিলারি বড়োভূমির ১২টি আসনেই বিপিএফের প্রার্থী দেবেন। এ ছাড়াও বড়োভূমির বাইরে গোঁসাইগাঁও, বিজনির আসনে লড়তে চাইছে বিপিএফ। আঞ্চলিক গণ মোর্চা ও বামের পাচ্ছে মোট ৭টি আসন। আজ কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। আগামিকাল চূড়ান্ত করা হবে প্রার্থীদের নাম। এআইইউডিএফের সঙ্গে হাত মেলানোয় কংগ্রেসকেও সাম্প্রদায়িক বলছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া বলেন, “এক হাতে তালি বাজে না। অসম বিজেপি-মুক্ত হলেই এআইইউডিএফে মতো দলেরও প্রাসঙ্গিকতা থাকবে না।”

এ দিকে শাসক জোটে চাপে রয়েছে অগপ। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ায় তাদের জনপ্রিয়তা ধাক্কা খেয়েছে। তার উপর, দলের নেতাদের আশঙ্কা এ বারের নির্বাচনে বিজেপি একক গরিষ্ঠতা পেলে অগপকে আমল না-ও দিতে পারে। অগপর হাতে এখন ১৪ জন বিধায়ক। তারা আর ক’টি আসনে লড়েচে চেয়েছিল। কিন্তু বিজেপি তাদের ৮টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা অবশ্য দাবি করেন, ৯৫ শতাংশ বিষয়ে দুই দল একমত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। অগপ নেতৃত্বে আজ দিল্লিতে অমিত শাহ ও জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকে বসে।এ দিকে অমিত শাহের সঙ্গে আজ রাতে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ ও হিমন্তবিশ্ব। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রঞ্জিতকুমার দাস ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের আশা সংখ্যালঘুদের ভোট পাবে বিজেপি। হিমন্ত অবশ্য বলছেন, সংখ্যালঘু ভোটের কোনও দরকার নেই। প্রিয়ঙ্কা বঢরা গত কাল অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন। চা শ্রমিকদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে তাঁদের দিন বদলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হিমন্ত এ নিয়ে বলেন, “কংগ্রেস আসলে লড়ছে বাংলাদেশিদের বাঁচাতে। প্রিয়ঙ্কা চা শ্রমিকদের ঘরে খেয়েছেন। তার গ্যাস ও চাল, বাগানের পাকা রাস্তা সবই মোদী সরকারের দেওয়া। কংগ্রেস আমলে এ সব কিছুই ছিল না শ্রমিকদের কাছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy