লাইনচ্যুত হাওড়া থেকে মুম্বইগামী এক্সপ্রেস। —ফাইল চিত্র।
রেলওয়ে সেফটি কমিশনার মুম্বই মেল বেলাইন হওয়ার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবেন বলে দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে রেলকর্তারা জানার চেষ্টা করছেন, মালগাড়ির চালক এবং সহকারী চালক ওয়াগন বেলাইন হওয়ার কথা কখন টের পেয়েছিলেন। ৫৮ ওয়াগনের মালগাড়ির ২০ নম্বর ওয়াগনের সঙ্গে মুম্বই মেলের ইঞ্জিনের ধাক্কা লাগে বলে প্রাথমিক তদন্তে খবর।
ট্রেন বেলাইন হলে তার এয়ার ব্রেকের বাতাসের চাপ নেমে যাওয়ার কথা এবং বাতাসভর্তি ব্রেকপাইপ ছিন্ন হলে ট্রেন আপনা থেকেই থেমে যাওয়ার কথা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এ ক্ষেত্রে বেলাইন হওয়া ওয়াগন প্রায় ৯০০ মিটার কংক্রিটের স্লিপারের উপর দিয়ে গড়াতে গড়াতে গিয়েছে। মালগাড়ির চালক এবং সহকারী চালক বিষয়টি ‘টের পাননি’ বলে সূত্রের খবর।
একাধিক লাইন পাশাপাশি রয়েছে, এমন জায়গায় ট্রেন বেলাইন হলে চালক এবং সহকারী চালককে দেখতে হয়, ট্রেনের কামরা অন্য লাইনে উঠে পড়েছে কি না। রাতে এমন ঘটনা ঘটলে পাশের লাইনে আসা ট্রেনের চালককে সতর্ক করতে হয়। এ ক্ষেত্রে, তা করা হয়নি। মালগাড়ির গতি শূন্যে নেমে আসার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মুম্বই মেলের সঙ্গে তার ‘সাইড অন কলিশন’ ঘটে বলে খবর।
মালগাড়ি কেন বেলাইন হল, তা খুঁজে বের করার পাশাপাশি, দু’টি ট্রেনের ইঞ্জিন তাদের ওই সময়ের সর্বোচ্চ গতি থেকে কত ক্ষণের মধ্যে স্থির হয়ে যায়, তার হিসেব থেকে তদন্তের সূত্র মিলতে পারে বলে রেল সূত্রে খবর। মুম্বই মেলের দুর্ঘটনায় যে দুই যাত্রীর মৃত্যু ঘটেছে, তাঁরা বি-৪ কামরার শৌচালয়ের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে জানান দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্র। তাঁরা ওই সময়ে নিজেদের বার্থে থাকলে হয়তো রক্ষা পেতেন বলে মত রেল কর্তাদের।
ওই দুর্ঘটনার জেরে মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শতাধিক ট্রেনের যাত্রা বাতিল অথবা রুট বদলাতে হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে ডাউন লাইন এবং সব শেষে আপ লাইন চালু করার কথা ভাবা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy