বিজেপি সূত্রের মতে, হোলি পূর্ণিমা শুভ সময়। সেই সময়েই দলীয় মুখ্যমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করার কথা প্রাথমিক ভাবে ভেবে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসা প্রায় নিশ্চিত।
n বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী এবং রাজনাথ সিংহ। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঠিক করতে আজ রাতে নিজের বাড়িতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিজেপি সূত্রের মতে, হোলি পূর্ণিমা শুভ সময়। সেই সময়েই দলীয় মুখ্যমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করার কথা প্রাথমিক ভাবে ভেবে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসা প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা এখন চূড়ান্ত করেনি দল। তা নিয়ে আলোচনা করতে আজ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সভাপতি জে পি নড্ডা, দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ।
মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ ও বিশ্বজিৎ সিংহের মধ্যে ক্ষমতা দখল নিয়ে টানাপড়েন পূর্ণমাত্রায় জারি রয়েছে। সূত্রের মতে, নিজের ক্ষমতা প্রদর্শনে ভোটের ফলাফলের পরে জয়ী বিধায়কদের নিয়ে চা-চক্রের আয়োজন করেছিলেন বীরেন। তাতে অনুপস্থিত ছিলেন বিশ্বজিৎ। তিনি দাবি করেন, জয়ী বিধায়কদের মাত্র ৯ জন ওই চা-চক্রে যোগ দিয়েছিলেন। অন্য দিকে বীরেন সিংহ শিবিরের দাবি, অন্তত ২৬ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। উভয় শিবিরকেই দিল্লিত ডেকে পাঠিয়েছে দল। আগামিকাল দিল্লি আসার কথা রয়েছে যোগী আদিত্যনাথেরও। গোয়ায় মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্তকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছেন আরেক বিশ্বজিৎ। বিজেপি সূত্রের মতে, রাজ্যের ভালপোই কেন্দ্র থেকে জিতে আসা বিশ্বজিৎ রাণে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন। বিজেপি সূত্রের মতে, নিজের কেন্দ্রে মাত্র এক হাজার ভোটে জিতে আসাই প্রমোদের কর্তৃত্ব নিয়ে দলে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আর উত্তরাখণ্ডে হেরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পুষ্কর সিংহ ধামী। হেরেও অবশ্য লড়াইয়ে রয়েছেন তিনি। ধামী ছাড়াও ওই রাজ্যে সত্যপাল মহারাজ, ধন সিংহ রাওয়ত মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন।
এ বারের নির্বাচনে একাধিক বিজেপি প্রার্থী নিজের আত্মীয়দের টিকিট দেওয়ার জন্য দলের কাছে তদ্বির করেছিলেন। এর মধ্যে বিজেপি সাংসদ রীতা বহুগুণা জোশী নিজের ছেলে ময়ঙ্ক জোশীকে লখনউ ক্যান্টনমেন্ট আসন থেকে টিকিট দেওয়ার জন্য দলীয় নেতৃত্বের কাছে যে তদ্বির করেছিলেন, তা সামনে এসে পড়ে। ছেলের স্বার্থে প্রয়োজনে নিজের সাংসদ আসনও ছাড়তে রাজি ছিলেন রীতা। যদিও শেষ পর্যন্ত ছেলে ময়ঙ্ককে টিকিট দেয়নি দল। তাই ভোট চলাকালীন সমাজবাদী পার্টিতে যোগদান করেন ময়ঙ্ক। কেবল রীতাই নন, একাধিক নেতা-নেত্রীর পরিবারের লোকেদের যে টিকিট না দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দলের মধ্যে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছিলেন মোদী। তাই আজ সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদী বলেন, ‘‘পরিবারের সদস্যদের কাউকে টিকিট না দেওয়ার জন্য অন্য কোনও দলীয় নেতাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ ওই সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছিলাম। যদি তা পাপ হয়, তা হলে সেই পাপ আমার। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy