চলতি অধিবেশনে কংগ্রেসকে বিশেষ ধর্তব্যের মধ্যে না এনে বিজেপি-বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটতে চাইছে তৃণমূল। আর সেই কাজে এসপি এবং আপের মতো দলের সঙ্গে সমন্বয়ের চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যসভায় আজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ইউক্রেন সংক্রান্ত বিবৃতি দেওয়ার কথা ছিল দুপুর দুটোয়। কিন্তু সেই বিবৃতির কপি মন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্যসভার সাংসদদের দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ তুলে তাঁর বিবৃতির সময় পিছিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
চলতি অধিবেশনে কংগ্রেসকে বিশেষ ধর্তব্যের মধ্যে না এনে বিজেপি-বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটতে চাইছে তৃণমূল। আর সেই কাজে এসপি এবং আপের মতো দলের সঙ্গে সমন্বয়ের চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি পড়ার আগেই সরব হতে দেখা যায় তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। তিনি বলেন, যে বিবৃতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী দেবেন, তা আগে সমস্ত সাংসদের কাছে পৌঁছনোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যসভায় দু’ঘণ্টা পিছিয়ে যায় বিদেশমন্ত্রীর বক্তৃতা। ওই বিবৃতির কপি সব সাংসদের কাছে পৌঁছনোর পরই তা শুরু হয়। পরে ডেরেক বিষয়টি নিয়ে টুইটও করেন।
বিদেশমন্ত্রীর বক্তৃতার পর তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা তাঁকে প্রশ্ন করেন, সরকার ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্দেশিকা পাঠানো সত্ত্বেও ছাত্রদের ফেরাতে এত বিলম্ব হল কেন? সরকারের নড়ে বসতে দেরি হয়েছে, প্রচ্ছন্নভাবে এই অভিযোগও করা হয়। তৃণমূলের সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ইউক্রেন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমরা সমস্ত পাইলট, অফিসার এবং ভারতীয় দূতাবাসগুলিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ভারতীয় ছাত্রদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য।” তাঁর কথায়, “১৫ ফেব্রুয়ারি সতর্কতামূলক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারত। বলা হয়, সংঘাত হলে দেশত্যাগ করতে। আমার প্রশ্ন, ভারতীয় নাগরিকদের নিজের টাকায় ইউক্রেন ছাড়তে বলার নির্দেশিকাকে কি সরকারের উদ্যোগে ভারতীয়দের ফিরিয়ে নিয়ে আসা বলা চলে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy